Health Tips in Bengali: প্রস্রাব হচ্ছে আমাদের শরীরের এক প্রক্রিয়া। কিডনি রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং অতিরিক্ত জল ফিল্টার করে প্রস্রাব তৈরি করে। প্রস্রাব (Urine) শুধু শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থই বর্জন করে না, বরং আপনার স্বাস্থ্য (Health) সম্পর্কেও অনেক কিছু ইঙ্গিত দেয়। প্রস্রাবের রং ও গন্ধ দেখে শরীরে বেড়ে ওঠা অনেক রোগ (Diseases) শনাক্ত করা যায়। এই কারণেই ডাক্তাররা অভ্যন্তরীণ রোগগুলি পরীক্ষা করার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষার পরামর্শ দেন। যেহেতু প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায় তাই শরীর সংকেত দিলে তা সকলেই করতে হয়। এই অবস্থায় আপনি যদি প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন, তবে শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। আর এখান থেকেই শরীরে নানা রোগের উৎপত্তি হয়।
এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা প্রস্রাব চেপে রাখেন। বিশেষত মহিলাদের এই কারণে রাস্তাঘাটে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু এই প্রস্রাব চেপে রাখতে কী-কী সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন সেই সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, আয়ুর্বেদ ১৩টি প্রাকৃতিক তাগিদ ব্যাখ্যা করে যেগুলো কখনওই আটকে রাখা উচিত নয়। এর মধ্যে একটি হল প্রস্রাব। মেয়েরা নানা কারণে প্রস্রাব চেপে রাখে। আপনিও এমনটা করলে কী-কী সমস্যায় পড়তে পারেন, দেখে নিন…
প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষমতা ব্যক্তির বয়সের উপর নির্ভর করে। যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মূত্রাশয় ২ কাপ পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে কিন্তু শিশুরা পারে না। তাদের প্রস্রাব সঞ্চয়ের ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কের অর্ধেক। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের মতে, বয়স যেমনই হোক কখনওই প্রস্রাব চেপে রাখা উচিত নয়। এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই এই প্রক্রিয়ায় বাধা পড়লে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মহিলারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রস্রাব ধরে রাখেন। এতে বেড়ে যায় ইউটিআই-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। মূত্রাশয়ে ক্ষমতার চেয়ে বেশি পরিমাণ প্রস্রাব আটকে রাখতে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কারণ প্রস্রাবে শরীরের বর্জ্য ব্যাকটেরিয়াগুলো থাকে। তাই সময়মতো প্রস্রাব অপসারণ না করলে প্রস্রাবের সময় ব্যথার সঙ্গে ইউটিআই-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এখন অনেকেই কিডনিতে পাথরের সমস্যার সম্মুখীন হন। এর পিছনে দায়ী প্রস্রাব চেপে রাখা। ঘন ঘন প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বারিয়ে দেয়। তবে এই রোগের পিছনে খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন, চিকিৎসা পরিস্থিতি এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দায়ী।
নিয়মিত প্রস্রাব আটকে রাখতে রাকজতে মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল হতে শুরু করে। আর এই অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে মূত্রাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এতে মূত্রাশয় ও গোপনাঙ্গে ব্যথা হতে পারে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বর্য উপরোক্ত পরিণতি এড়াতে আমাদের শরীরের কথা শোনা এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া করার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে শরীর ভাল থাকবে। আর যদি আপনি ইতিমধ্যে এর মধ্যে যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।