Health Tips in Bengali: বর্তমানে সকলেই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। কী খাবেন, কখন খাবেন সব কিছুরই যোগ রয়েছে স্বাস্থ্যের সঙ্গে। এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা রয়েছে। আর সুস্থ থাকতে অনেকে চিনি বদলে গুড়, মধু এই সব বেছে নিচ্ছে। যদিও এই অভ্যাস ভীষণভাবে স্বাস্থ্যকর। চিনি খেলে শরীরে নানা রোগ দেখা দেয়। অন্যদিকে, গুড়, মধুর মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল। আর এই কারণে এখন মানুষ চায়েতেও চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করছে। বিশেষত শীতকালে অনেকেই চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করেন। এতে নাকি শরীরের রোগ-ভোগ দূরে পালায়। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলছে অন্য কথা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে, এই সংমিশ্রণ আপনার স্বাস্থ্যের উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে। এই প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেখা রাধামণি। এখানে তিনি গুড় ও দুধ চায়ের সংমিশ্রণে শরীরে যে কু-প্রভাব পড়ে তা আলোচনা করেছেন। সেগুলো কী-কী চলুন দেখে নেওয়া যাক…
দুধ চা মোটেও স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়। এই অবস্থায় আপনি যদি দুধ চায়ের সঙ্গে গুড় মেশান তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রাচীন আয়ুর্বেদ স্বাস্থ্যের মতে, এই সংমিশ্রণ হজম ক্ষমতার ওপর কু-প্রভাব ফেলতে পারে। গুড়ে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে ঠিকই কিন্তু দুধ চায়ের সঙ্গে এগুলো মিশে গেলে সমস্যা দেখে দিতে পারে।
আয়ুর্বেদের মতে, দুধ চা আর গুড় কখনওই একসঙ্গে খাওয়া যায় না। আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রতিটি খাবারের নিজস্ব দোষ, গুণ, শক্তি ও স্বাদ রয়েছে। ডাঃ রাধামণি জানান, দুধ চা গরম প্রকৃতির হয় আর গুড় ঠান্ডা। সুতরাং এই সংমিশ্রণ যখন আপনি গ্রহণ করেন তখন হজমে সমস্যা দেখা দেয়।
এখন দুধ চায়ে চিনিও মেশাতে পারবেন না। এটাও নীরব ঘাতকের মতো আপনার শরীরে রোগ প্রকোপ বাড়িয়ে তুলবে। অন্যদিকে দুধ চায়ে গুড় মেশানোও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। তাহলে এই পরিস্থিতি কী করবেন? এখানেও পথ দেখিয়েছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রাধামণি। তিনি বলেন, চিনি বা গুড়ের পরিবর্তে আপনি দুধ চায়ে মিছরির কয়েকটা দানা মেশাতে পারেন। এতে শরীরে খারাপ পড়বে না। আর যদি ভেষজ চা পান করেন, তাহলে তাতে মধু মেশাতে পারেন।
শুধু দুধ চা আর গুড় নয়, এছাড়াও আরও কিছু খাদ্য সংমিশ্রণ রয়েছে যা আয়ুর্বেদের মতে খাওয়া উচিত নয়। এর মধ্যে রয়েছে কলা এবং দুধ, মাছ এবং দুধ, দই এবং পনির, ঘি এবং মধু। এই খাবারগুলো একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।