আশপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা অর্শ বা হেমোরয়েডে ভুগছেন। আর এই রোগের কষ্ট যে কতখানি তা সে যার হয় সেই বোঝে। উঠতে বসতে সমস্যা হয়। হেমোরয়েডসে মলদ্বারের চারপাশ বা মলদ্বারের নীচের অংশ ফুলে যায়। ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি দেখা যায়। প্রতি বছর প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নতুন করে ভোগেন এই অর্শের সমস্যায়। পাইলস এবং অর্শের রোগ-লক্ষণ প্রায় একই রকম। তবে অধিকাংশ মানুষই তাঁর অর্শের সমস্যার কথা বলতে লজ্জা পান, এড়িয়ে যান। গাফিলতি থেকো অনেকে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শও নেয় না। ফলে অর্শ বাড়তে থাকে। একসময় তা চরম বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখান থেকে অপারেশন ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। তাই আর্য়ুবেদ চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ তাঁর ইন্সটাগ্রাম পোস্টে অর্শের জন্য কার্যকরী বেশ কিছু সবজি খাওয়ার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ রোজ বাটার মিল্ক আর ওল খেতে পারলেও এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ওল খেলে পাইলস নয়, মুক্তি পাওয়া যায় একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকে।
অর্শ বা হেমোরয়েডের লক্ষণ
*মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া ভাব।
*মলের সঙ্গে রক্তপাত।
*মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ড।
*মলদ্বারের কাছে চুলকানি। মলদ্বার থেকে রক্তপাত
কেন ওল অর্শ রোগীদের জন্য ভাল
আর্য়ুবেদ মতে, ওল নিয়মিত খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে যারা প্রায়শই পেটের ব্যথায় ভোগেন, কৃমির উপদ্রব রয়েছে এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এই সবজি বিশেষ উপকারী।
কথায় বলে বুনো ওল আর বাঘা তেঁতুল। কিন্তু কী ভাবে খাবেন এই ওল?
ওল পাতলা স্লাইস করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিন। এবার তা পিষে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। রোজ পাঁচ গ্রাম ওলের গুঁড়ো তেঁতুলের সঙ্গে খান। এতে বেশ ভাল কাজ হবে।
কেন ওল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকারী?
ওলের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১, রাইবোফ্ল্যাভিন, ফলিক অ্যাসিড, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন। এছাড়াও ওল থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাসিয়াম, ফাইবার পাওয়া যায় যা শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ওলের পাশাপাশি মিষ্টি আলু, আলু, গাজর, তরমুজ, শসা এসব খাবার বেশি করে রাখুন ডায়েটে। মশলাদার খাবার, অ্যালকোহল, দুগ্ধজাতীয় পানীয়, পনির, চিজ, মাখন এসব এড়িয়ে চলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।