Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় জেরবার? সমাধানের উপায় বললেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Mar 10, 2022 | 4:07 PM

Ayurvedic Tips: অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে আজকাল অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন।

Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় জেরবার? সমাধানের উপায় বললেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ
Image Credit source: istockphoto.com

Follow Us

অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে আজকাল অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের (Constipation) সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও মানসিক চাপ, অসময়ে খাওয়া, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, অ্যান্টাসিড এবং অন্যান্য চিকিৎসাগত সমস্যা এবং ঋতুস্রাবের সময়ও নানা সমস্যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা (Lifestyle Disease) দেখা দেয়। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিজ্ঞতা কখনও সুখকর হতে পারে না কারোর জন্যই। দিনভর পেটে ব্যথা অথবা অস্বস্তি তাড়া করলে কোনও কাজ আপনি ঠিক করে করতে পারবেন না। হয়তো এক-আধবার যদি এই সমস্যা হয় তাহলে তবু বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু যদি আপনি ক্রমাগত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাহলে এর ফলে ভিটামিনের অভাব, মেজাজ পরিবর্তন ইত্যাদি হতে থাকবে। তাই এই সমস্যার সমাধান করা জরুরি। আর এই ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আয়ুর্বেদ (Ayurveda)।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভাটা দোষের ভারসাম্যহীনতার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং অনেক জীবনধারা এবং খাদ্যতালিকাগত কারণগুলি এর জন্য দায়ী হতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার তাঁর সাম্প্রতিক পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন যে কীভাবে মন দিয়ে না খাওয়া, শুকনো, ঠান্ডা, মশালাযুক্ত, তেলে ভাজা এবং ফাস্ট ফুড খাবার অত্যধিক পরিমাণে গ্রহণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করা, কম ফাইবার, দুর্বল বিপাক, ঘুমের ব্যাঘাত, রাতে খাবার খাওয়া, দেরিতে ডিনার করা এবং বসে থাকা জীবনধারা সমস্ত অনিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধির সমস্যায় অবদান রাখতে পারে।

ডাঃ দীক্ষা কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার ও যোগাসনের কথাও উল্লেখ করেছেন, যা অনুসরণ করে আপনি এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। সেগুলি হল-

-রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করুন। ঘি শরীরের জন্য লুব্রিক্যান্ট হিসাবে কাজ করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এটি বর্জ্যের দ্রুত চলাচলে সহায়তা করে এবং এটি অন্ত্রের চলাচলকে সহজ করে তোলে।

-সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস গরম জল পান করুন। নিয়মিত গরম জল পান করলে এটি অন্ত্রের গতিবিধিতে সহায়তা করতে পারে। জল মলকে নরম করে এবং এটি মসৃণভাবে চলাচলে সহায়তা করে।

-মলাসন করুন। এটি কোলনের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বর্জ্য নির্মূলে সহায়তা করে।

-অর্ধ মৎস্যেন্দ্রাসন করুন। এই আসনটি অগ্ন্যাশয়, লিভার, প্লীহা, কিডনি, পেট এবং ঊর্ধ্বমুখী এবং নিম্নগামী কোলনকে উদ্দীপিত করে।

-হলাসন করুন। এই আসনটি শ্রোণী অঞ্চলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়।

-পবন মুক্তাসন করলে এটি গ্যাস নিঃসরণ করে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে মুক্তি দেয় এবং ডিসপেপসিয়ার মতো রোগ নিরাময় করে।

-বদ্ধ কোনাসন করুন। এটি গ্যাস, ফোলাভাব, ক্র্যাম্পিং থেকে মুক্তি দেয় এবং স্ট্রেস হ্রাস করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: জানেন কি প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর জল সুস্থ রাখতে পারে আপনার কিডনিকে?

Next Article