ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া বর্তমানে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সেখান থেকে হাইপারইউরিসেমিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে জয়েন্টে ফোলাভাব, ব্যথা এসব লেগে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সেখান থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। পিউরিন নামের একটি রাসায়নিক যৌগ ভেঙে সেখান থেকে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে এই সমস্যা বেশি হয়। বেশ কিছু খাবার আর পানীয়ের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড কিডনি দিয়ে পরিস্রুত হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। তবে যখন এই পরিমাণ বেড়ে যায় তখন গাঁটে গাঁটে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করে। ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য অনেক রকম চিকিৎসা রয়েছে। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এই তিন ভেষজের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। এতে ইউরিক অ্যাসিড দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
হরিতকী, আমলা, বহেড়া এই তিনের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলা। আর ত্রিফলা যেমন পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে তেমনই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে। এই তিনের মিশ্রণে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। রোজ সকালে খালিপেটে ইষদুষ্ণ জলে এই মিশ্রণ মিশিয়ে খেলে কাজ হবেই।
বহু বছর ধরেই গাউটের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় নিম। নিমের মধ্যে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গেঁটেবাত নিরাময়ের জন্য খুব ভাল। রোজ সকালে একটু নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে শরীরের জন্য যেমন ভাল, শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায় তেমনই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে। গাঁটে ব্যথা হলে নিমপাতা বেটে লাগালেও অনেক উপকার হয়।
আয়ুর্বেদের সব চিকিৎসাতেই হলুদ ব্যবহার করা হয়। হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামের একরকম যৌগ। এছাড়াও হলুদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ বাতের চিকিৎসায় ভাল কাজ করে। সেই সঙ্গে ফোলা ভাবও কমিয়ে দেয়।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদাও খুব ভাল কাজ করে। নিয়মিত ভাবে আদার চা খেলে উপকার হয় তেমনই আদা দিয়ে জল ফুটিয়েও খেতে পারেন। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়েট মেনে চলতেই হবে। প্রয়োজনে ওষুধও খেতে হবে।