Ayurveda: সিরাপ খেয়েও শুকনো কাশি সারছে না? নিরাময় হতে পারে আয়ুর্বেদের মুষ্টিযোগে!

Treat Dry Cough: বিশেষজ্ঞদের মতে, শুকনো কাশি হওয়ার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নাও থাকতে পারে। অবশ্য অ্যালার্জি এবং প্রদাহকারক বস্তুর সংস্পর্শে এল হতে পারে এই ধরনের সমস্যা। তবে আয়ুর্বেদে এই ধরনের সমস্যার খুব কার্যকরী সমাধান রয়েছ।

Ayurveda: সিরাপ খেয়েও শুকনো কাশি সারছে না? নিরাময় হতে পারে আয়ুর্বেদের মুষ্টিযোগে!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 1:59 PM

সাধারণত অপুষ্টি, মুখ, ও দাঁতের অযত্ন এবং স্ট্রেপটোকক্কাস, স্টেফাইলোকক্কাস ইত্যাদি জীবাণুর থেকে গলার সংক্রমণ (Throat Infection) হয়ে থাকে। সংক্রমণের কারণে গলার ভিতরে লাল হয়ে যাওয়া, ঢোক গিলতে না পারা, গলায় জ্বালাভাব, কাশি ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। এভাবে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ধরনের সংক্রমণ হয়। তবে হ্যাঁ, কফ অথবা শ্লেষ্মা উৎপাদন করে না এমন কাশিকেই সাধারণত আমরা ড্রাই কফ (Dry Cough) বলে থাকি। নানা কারণেই শুকনো কাশি হয়। তার জন্য আমরা প্রচুর ওষুধও খাই। উপসর্গের সাময়িক নিরাময় হলেও পুনরায় রোগ ফিরে আসে। এমতাবস্থায় অনেকেই আয়ুর্বেদের হলুদ, মধু ও তুলসী ব্যবহার করেন। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুকনো কাশির ক্ষেত্রে এহেন উপায় খুব একটা উপকারী নাও হতে পারে। এমনকী কাশির সমস্যা বাড়িয়েও তুলতে পারে। এমতাবস্থায় আয়ুর্বেদের অন্যান্য কিছু উপায় (Ayurvedic Tips) আছে যেগুলির সাহায্যে শুকনো কাশি প্রতিরোধ করা যায়। তবে ওষুধ খাওয়ার আগে একটা কথা স্মরণে রাখতে হবে। শুকনো কাশি এবং গলার নানা সংক্রমণের পিছনে বিভিন্ন কুঅভ্যেসও দায়ী থাকে। তাই শুকনো কাশি নিবারণে শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না। অন্যান্য বদভ্যাসগুলিও দূর করতে হবে। প্রশ্ন হল কী কী বদভ্যাস?

• তামাকজাতীয় পদার্থ ও মদ বর্জন করা

• অতিরিক্ত ঠান্ডা ও অতিরিক্ত গরম খাদ্য খাওয়া চলবে না।

• ধুলো ও ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা দরকার।

• মশলা ও তেলযুক্ত খাদ্য খাওয়া বন্ধ করা দরকার।

শুকনো কাশির আয়ুর্বেদিক সমাধান

• ঈষদুষ্ণ জলে সর্ষের তেল এবং সামান্য নুন ফেলে বুক ও গলায় ম্যাসাজ করুন।

• চারটি এলাচ দানা, অর্ধেক চা চামচ বিট নুন, অর্ধেক চা চামচ রক সুগার, অর্ধেক চা চামচ ঈষদুষ্ণ দেশি গরুর ঘি একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিনবেলা সেবন করলে গলায় আরাম পাবেন। তবে ডায়াবেটিসের রোগী চিনি খাবেন না।

• দারুচিনি গুঁড়ো করে একচিমটে পরিমণে নিয়ে উষ্ণ চা অথবা এককাপ গরম জলে দিয়ে পান করতে পারেন।

পথ্যে নজর দিন

• ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। ভিটামিন সি নিজেই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই যে কোনও ধরনের প্রদাহ নাশ করতে পারে। তাই প্রতিদিন ভাত খাওয়ার সময় ভাতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন।

• পাতে রাখুন প্রচুর শাকসব্জি।

জীবনশৈলী

• রাতে খাবার খান শুতে যাওয়ার অন্তত একঘণ্টা আগে।

• অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এড়িয়ে চলুন।

• নিয়মমতো ঘুমান। সঠিক ঘুম ও বিশ্রামের অভাবে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেখান থেকেও হতে পারে প্রদাহ।

• নিয়মিত শরীরচর্চা খুব জরুরি বিষয়। শরীরচর্চা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। কমবয়সিরা প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন অথবা সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন চল্লিশ মিনিট হাঁটুন। বয়সজনিত কারণে ভারী এক্সারসাইজ করতে না পারলে হাঁটতে পারেন। এছাড়া স্ট্রেচিং এক্সারসাইজও করা যায়।