শীত মানেই রাীস্তার ধারে ভর্তি ফুলকপি আর বাঁধাকপিতে। শীতের যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে তরকারি হিসেবে পাতে পড়বেই এই সবজি। নুডলস, মোমো থেকে স্যুপ সর্বত্রই এর অবাধ বিচরণ। অনেকে আবার মাংসের মধ্যেও মিশিয়ে দেন সস্তার এই সবজিটি। এমনই তার বহর। স্বাদে ভাল না লাগলেও স্বাস্থ্যকর হিসেবে এই সবজিটির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বাঁধাকপির পাতা গৃহপালিত পশুরাও যেমন মনের সুখে খায় তেমনই শীতে আমাদের প্রায় রোজকার রান্নাঘরে কষিয়ে রান্না করা হয় বাঁধাকপি। পিকনিক হোক বা সরস্বতী পুজো, মেন্যুতে বাঁধাকপির তরকারি থাকবেই। বাঁধাকপির মধ্যে থাকে ভিটামিন, খনিজ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। এছাড়াও এই সবজিটির মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই নেই। থাকে উচ্চ পরিমাণ ফাইবার। ফলে ওজন কমে খুব তাড়াতাড়ি।
ব্রকোলি, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি- এই তিন সবজিরই একাধিক উপকারিতা রয়েছে। সেই সঙ্গে এই সবজিটি পুষ্টিতে ভরপুর। জেনে নিন খেলে কী কী উপকারিতা পাবেন-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাঁধাকপির মধ্যে থাকে সালফার। এই সালফোরাফেন ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ঠেকাতেও কার্যকরী এই যৌগটি। বাঁধাকপির মধ্যে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যানসার থেকে সেরে উঠতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।
শরীরে যে কোনও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বাঁধাকপি। এর মধ্যে থাকে সালফোকাফেন, কেম্পফেরল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সে সঙ্গে বাঁধাকপির রয়েছে অ্যান্টি ইফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। যে কারণে সংক্রমণ, ব্যথা এসব থাকে অনেক দূরে।
বাঁধাকপির মধ্যে থাকে ভিটামিন কে, আয়োডিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন। যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। অ্যালঝাইমার্স রোগীরা রোজ বাঁধাকপি খেতে পারলে তাই খুব ভাল। মস্তিষ্কোর কার্যকারিতা, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রয়েছে এই সবজিটির।
বাঁধাকপির মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ফাইটোকেমিক্যালস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
বাঁধাকপির যেম ওষধি গুণ রয়েছে তেমনই একাধিক পুষ্টিও রয়েছে। হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে, ওবেসিটি, আলসার, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সমান ভাবে কার্যকরী এই বাঁধাকপি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।