বাঙালিদের ঘরে ঘরে গ্যাস-অম্বলের ( Acidity) সমস্যা লেগেই রয়েছে। এমন কিন্তু কোনও বাঙালি নেই যিনি বুক ঠুকে বলতে পারবেন যে তাঁর পেটের কিংবা হজম ( Digestive Problem) সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রথম যে অসুবিধের কথা তাঁরা বলেন তা হল- অ্যাসিডিটির সমস্যা সঙ্গে বদহজম। আর তাই অনেক বাড়িতেই মাসকাবারি বাজারের সঙ্গে আসে পাতার পর পাতা অ্যান্টাসিড ( Antacid)। এই অ্যান্টাসিড কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড খেলে অন্ত্রে ফুটো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। সেই সঙ্গে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। খুব অসুবিধে না হলে অ্যান্টাসিড এড়িয়ে চলাই ভাল। বরং চেষ্টা করুন নিজের খাদ্যাভ্যাসে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে।
আর্য়ুবেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার যেমন বলেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। আর তাই প্রথম থেকেই মেনে চলুন বেশ কিছু টোটকা।
*খাবারে অতিরিক্ত নুন, মশলা, টক, ভাজা, ফাস্ট ফুড এবং ফার্মান্টেড খাবার এড়িয়ে চলুন। বাইরের খাবার যতটা বাদ দিতে পারবেন ততই ভাল। ফ্রেশ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। শাকসবজি, ফল এসব বেশি করে খান।
*অতিরিক্ত থাবেন না। খেতে ভাল লেগেছে বলেই যে একসঙ্গে অনেককআনি খেয়ে ফেলবেন এরকমও করবেন না। বরং বারে বারে খাবার খানয অল্প পরিমাণে খাবার খান। খাবারের লোভ সংবরণ নিজেকেই করতে হবে। টক খাবার থেকে দূরে থাকুন।
*যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তাহলে কিন্তু খাবার খাওয়ার সময়ের মধ্যে বিশেষ গ্যাপ দেবেন না। কোনও খাবার এড়িয়ে যাবেন না। বিশেষত দুপুরের খাবার। অসময়ে খাওয়া এবং অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে। বরং তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে নিন।
*অতিরিক্ত রসুন, শুকনো লঙ্কা, কাঁচা লঙ্কা, তেল এসব একদম নয়। এমনকী আমিষ খাবারও যত কম খেতে পারবেন ততই ভাল।
*খাবার খেয়েই শুয়ে পড়বেন না। বরং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। হালকা কিছু যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন।
*ধূমপান, মদ্যপান এবং ব্যাথার অসুধ থেকে দূরে থাকুন। এগুলির পরিমাণ বাড়লেই কিন্তু জাঁকিয়ে বসবে নানা রকমের সমস্যা।
*মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। মানসিক চাপ, জটিলতা যত বাড়বে ততই কিন্তু এই সব সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে।
এছাড়াও ডাঃ ভাবসার অ্যাসিড, বদহজমের সমস্যার জন্য কিছু আর্য়ুবেদিক টোটকার কথাও বলেন।
*রোজ সকালে খালি পেটে ধনে ভেজানো জল খান।
*খাবার ৩০ মিনিট পর কাঁচা মৌরি চিবিয়ে নিন। কয়েক বছর আগেও এই মৌরি চিবিয়ে খাওয়াটা ছিল একরকম রীতি। প্রায় সব বাড়িতেই দুপুরের খাবারের পর পান-মৌরি খাওয়া হত।
*সকালে খালি পেটে ডাবের জল খান
*বিকেলে মিছরি মিশিয়ে মৌরি ভেজানো জল খান।
*সারারাত জলে কিশমিশ ভিজিয়ে পরদিন সকালে তা ছেঁকে খান।
*রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খান
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।