Blood Sugar: ডিনারের সময় এবং জিনগত কারণেই প্রতিটি মানুষের শরীরে সুগারের মাত্রা নির্ধারিত! বলছে সমীক্ষা
খাওয়া এবং ঘুমের সময়ের মধ্যে সমতা না থাকলে একাধিক সমস্যা হয় শরীরে। আর তাই যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের সব সময় বলা হয় নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করতে
বয়স হলেই সুগার হবে- এসব এখন অতীত। ডায়াবিটিসের ( Diabetes) এখন আর নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষ যখন খুশি আক্রান্ত হতে পারেন ডায়াবিটিসে ( Reason of Diabetes)। আর এই তালিকা থেকে ছাড় পাচ্ছে না শিশুরাও। তবে ডায়াবিটিসের সঙ্গে কিন্তু গভীর সম্পর্ক রয়েছে ঘুমের ( Sleep)। কারণ ঘুমের জন্য দায়ী মেলাটোনিন হরমোনের তারতম্য হলেই শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। সেই সঙ্গে খাবারের সময়ও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কোন সময়ে কী খাবার খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে শরীরে শর্করার মাত্রা। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল ও স্পেনের মুরসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি যৌথ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে-‘ডায়াবিটিস কেয়ার’। আর সেখানেই উল্লেখ রয়েছে এই কারণের।
এমজিএইচ-এর সেন্টার ফর জিনোমিক মেডিসিনের প্রধান গবেষক ও সিনিয়র লেখক রিচা সাক্সেনা যেমন জানিয়েছেন, “এই কয়েকদিনে আমরা বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করেছি। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে যাঁরা দেরিতে খাবনার খান, সময়ে খান না তাঁদের শরীরে মেলাটোনিন খুব বেশি পরিমাণে থাকে। যে কারণে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।”
আর এই পরীক্ষার জন্য স্পেনের থেকে মোট ৮৪৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এঁরা সকলেই ৮ ঘন্টা কিছু না খেয়ে থাকেন। এরপর একেবারে সন্ধ্যায় তাঁদের খাবার দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রাতের খাবারও ডিনার টাইমের পরে দেওয়া হয়। রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার ফলে ঘুমও দেরিতে আসছিল। এরপর এঁদের সকলের জেনেটিক কোড মেলাটোনিন রিসেপ্টর-1বি জি (MTNR1B) বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে – প্রত্যেকের মধ্যেই টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে MTNR1B- বিশ্লেষিত হয়ে নতুন জিন জি-অ্যালিল তৈরি করেছে।
গবেষক রিচা সাক্সেনা আরও জানান, দেরিতে খাবার খেলে ইনসুলিনের মাত্রা কমে রক্তশর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। খাওয়া এবং ঘুমের মধ্যে অন্তত দু ঘন্টার ব্যবধান রাখা দরকার। কিন্তু সময়ে সময়ের খাবার সময়ে খাওয়া না হলে সেই ব্যবধান রাখা সম্ভব হয় না। বিশেষত রাতে। যে কারণে তখন মেলাটোনিন বেশি ক্ষরণ হয়। যাঁরা সময়ে খাবার খাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে যাঁরা দেরিতে খাবার খাচ্ছেন তাঁদের মেলাটোনিনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় ৩.৫ গুণ বেশি। এমনকী যাঁরা রাতের খাবার দেরিতে খান তাঁদের মধ্যে MTNR1B- জিনটিরও তারতম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকী মেলাটোনিন ক্ষরণ বেশি হলেই বেশি কার্বোহাইড্রেট খাবার ইচ্ছে হয়।
যে কারণে বাড়ছে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। মত বিশেষজ্ঞদের। যাঁরা নাইট শিফটে কাজ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সব সমস্যা আরও দ্িরুত আসছে। সঠিক সময়ে ঘুম আর খাওয়া না হলেই শরীরে হরমোনের তারতম্য দেখা দেবে। যা কিন্তু সুগার বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত। যে কারণে ডায়াবিটিস রোগীদের সময়ে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ডিনারের পর অন্তত ১ ঘন্টা পায়চারি করুন। খেয়ে-দেয়ে শুয়ে পড়লেই কিন্তু সমস্যা আরও অনেক বেশি বাড়ে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।