Seasonal Affective Disorder: সিজন্যাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডারের শিকার? রোগ লক্ষণ যে ভাবে বুঝে প্রতিকার করবেন…
শীতে এই মানসিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে এই রোগ কিন্তু জিনগত। আগে থেকে সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ঋতু পরিবর্তন শুধুই যে প্রকৃতির উপর প্রভাব ফেলে তা নয়, আমাদের শরীর আর মনের উপরেও কিন্তু এর বেশ প্রভাব পড়ে। অনেকেরই যেমন প্রিয় ঋতু বর্ষা তেমনই অনেকের আবার প্রিয় ঋতু শীত ( Winter)। কিন্তু এই শীত আবার অনেকের কাছে বিষন্নতার কারণও। শীত পড়লেই হঠাৎ যেমন মেজাজ বিগড়ে যায়, থেকে থেকে কান্না পায় তেমন আবার কখনও খুব একলা বোধ হয়। তবে এই সমস্যা সকলেরই যে শীতে হয় এমন নয় অনেকের আবার গরম পড়লেও এই ধরনের সমস্যা হয়। এই সমস্যাই উইন্টার ব্লুজ (winter blues) নামে পরিচিত। এই সময় শুধু যে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে থাকে তাই নয়, অন্যের প্রতি মনে মনে হিংসাও তৈরি হয়।
সমস্যা এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম। আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে কারোর ক্ষেত্রে এই সমস্যা কিন্তু ভরা শরতেও আসতে পারে। যাঁদের এই সিজন্যাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডারের সমস্যা রয়েছে ( SAD) তাঁরা কিন্তু ওই বিশেষ সময়ে কোনও কাজই মন দিয়ে করতে পারেন না। যে কোনও কাজেই থাকে চরম বিরক্তি। সাধারণ কোনও ব্যাপারও তাঁদের কাছে উদ্বেগের হয়ে দাঁড়ায়। দিনের শেষে শুধুই থাকে হতাশা। কোনও ভাবেই ক্লান্তি কাটতে চায় না। এছাড়াও এই সময় অনেকেরই মিষ্টির প্রতি ভীষণ লোভ বাড়ে। সাধারণ ভাবে মিষ্টির প্রতি ঝোঁক বাড়া কিন্তু মানসিক অস্বস্তিরই আভাষ দেয়। আবার এই সময় কারোর একেবারে খিদে কমে যায়।
তবে এই উইন্টার ব্লুজ বা সিজন্যাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডারের নেপথ্যে বেশ কিছু তাত্ত্বিক কারণও রয়েছে। শীতের দিনগুলোতে গায়ে সূর্যালোক তুলনায় কম লাগে। সূর্যালোক কম থাকার কারণে এই সময় মানবদেহে জৈবিক ঘড়ির ছন্দপতন হয়। ফলে তখন হরমোনগুলি ঠিক মতো কাজ করে না। বিশেষত যে সব হরমোন আমাদের ঘুম এবং মন-মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীর পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় না বলে সেরোটোনিন হরমোন তুলনায় কম উৎপন্ন হয়। যা মূলত সুখী হরমোন নামে পরিচিত। সেই সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর অভাবও দেখা যায়। যে কারণে শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। এছাড়াও শীতে রাত অনেক বড়। ফলে অনেকের ক্ষেত্রে মেলাটোনিন হরমোন বেশি নির্গত হয়। যে কারণে সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি এসব থাকে। তুলনায় অনেক বেশি ঘুম পায়।
যাঁদের এই SAD-এর সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু সাধারণত আরও নানা মানসিক ব্যাধির শিকার। অনেকেই যেমন অল্পে মেজাজ হারান, আবার তেমনই আবার অনেকেই বেশি সময় ধরে উদ্বেগে ভোগেন। এই সিজন্যাল ডিসঅর্ডারের সমস্যা কিন্তু বংশগত। যাঁর সিজোফ্রেনিয়া রয়েছে তিনিও কিন্তু ভুগতে পারেন এই সমস্যায়। আর তাই এই সমস্যা থাকলে যা কিছু মেনে চলবেন-
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। সকালের সূর্যের আলো গায়ে লাগানোর চেষ্টা করুন।
চিনি, কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
বাড়ির মধ্যে নিজেকে বন্দি রাখবেন না। সবার সঙ্গে মিশুন। এতে মন ভাল থাকবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron Symptoms: সাবধান! ওমিক্রন থেকে সেরে উঠলেও এই সব সমস্যা কিন্তু দীর্ঘ হতে পারে…