Black Rice Benefits: সাদা চালের বদলে এই চাল খেলে হু হু করে কমবে রক্তে সুগার ও কোলেস্টেরল!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 01, 2022 | 6:50 AM

Health Benefits: সাদা চাল তো অনেক খেলেন। এবার কালো চাল খেয়ে দেখুন। কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য ভালো হতে বাধ্য! বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Black Rice Benefits: সাদা চালের বদলে এই চাল খেলে হু হু করে কমবে রক্তে সুগার ও কোলেস্টেরল!

Follow Us

কালো চাল (Black Rice) মোটেই খুদকুঁড়ো নয়। কালো চাল এক ধরনের চালের প্রজাতি। জানলে অবাক হবেন খুব অল্প সংখ্যক দেশেই এই চালের চাষ হয়। অবাক ব্যাপার হল, এই চালকে নিষিদ্ধ চাল বলে মনে করেন অনেকেই। চালটি নিয়ে এহেন মনোভাবের কারণ হল, এই চাল আগে শুধুমাত্র সমাজের উচ্চবর্গের মানুষের জন্যই স্বল্পমাত্রায় চাষ করা হতো। শুধুমাত্র বিত্তবানরাই এই চাল খাওয়ার অধিকারী ছিলেন! তবে আজব সামন্ত প্রথা অবলুপ্ত হওয়ার পর ভারতের উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ অংশে এই চালের যথেষ্ট চাষ হচ্ছে। ফলনও হচ্ছে ভালোই। জানলে অবাক হবেন, সমগ্র পৃথিবীতেই এই চালের কদর ও চাহিদা রয়েছে। কারণ এই চালে (Black Rice Benefits) রয়েছে একাধিক পুষ্টি (Health Benefits) উপাদান এবং তা সাধারণ চালের তুলনায় কিছুটা বেশি! বিশেষ করে এই চালের ভাত খেলে একাধিক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন হল কী এমন রয়েছে যে বিশেষজ্ঞরা এই চালকে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন? দেখা যাক—

১) ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমায়: সমগ্র পৃথিবীতে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ভারতে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যে নার্ভ, কিডনি, চোখ, হার্টেরও ক্ষতি করে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করা দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কালো চালের ভাত খেলে তা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে। কারণ কালো চালে রয়েছে সাধারণ চালের চুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় ফাইবার। ফলে এই চালের ভাত খেলে চট করে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে না। বরং ফাইবার থাকায় ধীরে ধীরে রক্তে শর্করা মেশে। রক্তে সুগারের মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডায়েটে ব্ল্যাক রাইস যোগ করুন।

২) হার্টের স্বাস্থ্য: কালো চালের নিয়মিত সেবনে রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে। মনে রাখতে হবে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকী বাড়ে স্ট্রোকের আশঙ্কাও। কালো চাল এই ভয় গুলি দূর করতে ইতিবাচক ভূমিকা নেয়।

৩) ফাইবার: আগেই বলা হয়েছে, কালো চালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এর ফলে কালো চাল খেলে বাওয়েল মুভমেন্ট বা অন্ত্রের সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে। ফলে একদিকে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়, তেমনই ডায়ারিয়ার আশঙ্কাও কমে। হ্রাস পায় কোলন ক্যান্সারের ভয়। এছাড়া ফাইবার থাকার কারণে অল্পমাত্রায় খেলেও পেট ভরে থাকার অনুভূতি প্রদানে সক্ষম হয় কালো চাল। পেট ভরে থাকার অনুভূতি থাকলে মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট বা কার্বহাইড্রেটজাতীয় খাদ্য খাওয়া রোধ করা যায়। এর ফলে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরি প্রবেশ করে না। ওজনও বাড়ে না। তাই কালো চাল ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৪) লিভারের স্বাস্থ্য: ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়া মানেই তা শেষ পর্যন্ত ফ্যাট আকারে জমবে লিভারে। এর ফলে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। চিকিৎসা না করালে এই সমস্যা থেকে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে যায়। জানলে অবাক হবেন, কালো চালের ফাইবার এবং এই চালে থাকা পর্যাপ্ত মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে ফ্যাট জমা রোধ করে। লিভারের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে।

৫) দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে: ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড থাকায় কালো চাল দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই কারণে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তির জন্য কালো চাল অত্যন্ত উপকারী। বয়স্কদের বয়সজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে কালো চাল। এমনকী চোখের উপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাবও কমায়।

Next Article