AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মাড়ি থেকে নিয়মিত রক্ত পড়ছে! কেন এমন হয়? সমাধানে কী কী করা উচিত

আপনার শরীরে বেশকিছু ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলত ভিটামিন সি এবং কে- এর ঘাটতির কারণে 'ব্লিডিং গামস'- এর সমস্যা দেখা যায়।

মাড়ি থেকে নিয়মিত রক্ত পড়ছে! কেন এমন হয়? সমাধানে কী কী করা উচিত
শুধু দাঁতের যত্ন নিলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে মাড়িরও।
| Updated on: Mar 14, 2021 | 1:34 PM
Share

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বুঝলেই মহা বিপত্তি। হাজার সমস্যায় জেরবার হবেন আপনি। তবে শুধু দাঁতের যত্ন নিলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে মাড়িরও।

অনেকসময়েই দেখা যায়, দাঁত মাজার সময় মাড়ি থেকে হাল্কা রক্ত পড়ছে। হঠাৎ যেমন রক্ত পড়া শুরু হয়, তেমনই নিজে থেকে বন্ধও হয়ে যায়। অনেকেই এই সমস্যা এড়িয়ে যান। ডাক্তার দেখানো তো দূরে থাক, সাধারণ যত্নটুকুও নেন না। আর এতেই বাড়ে বিপদ।

কী কী কারণে মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে? 

ডেন্টাল হাইজিনের পাশাপাশি আপনার শরীরে বেশকিছু ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলত ভিটামিন সি এবং কে- এর ঘাটতির কারণে ‘ব্লিডিং গামস’- এর সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন সি আসলে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। ক্ষতস্থান সারানোর পাশাপাশি সেল ড্যামেজ রুখতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন। এর পাশাপাশি ভিটামিন কে- ও রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে হলে আপনার রোজের মেনুতে রাখুন মিষ্টি আলু, পালং শাক, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো, আমলকি এবং গোলমরিচ। এইসব খাবারে থাকে ভিটামিন সি এবং কে, যা আপনার মাড়ির সুদৃঢ় গঠনে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন- করোনাসমনিয়া আসলে কী? সমাধান হবে কীভাবে? জেনে নিন এই সমস্যার খুঁটিনাটি

মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করার জন্য কী কী করবেন?

১। নিয়ম করে দিনে দু’বার দাঁত মাজুন। ব্রাশ করার পাশাপাশি আলতো হাতে মাড়ি ম্যাসাজ করুন। তবে মাড়িতে কখনই ব্রাশ দিয়ে জোরে ঘষবেন না।

২। অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল। একান্তই খেলে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। যেকোনও খাবার খেলেই মুখ ধোয়া অভ্যাস করুন।

৩। যদি দেখেন পরপর কয়েকদিন ধরে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে, তাহলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪। যে টুথব্রাশ দিয়ে রোজ দাঁত মাজছেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। দু-তিন মাস পরেই ব্রাশ বদলে ফেলা প্রয়োজন।

৫। ডেন্টাল হাইজিন মেনে মাড়ি এবং দাঁত পরিষ্কার রাখতে হলে লিকুইড মাউথ রিফ্রেশনার বা মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।