Addison: এই বিরল রোগে সঙ্গে লড়াই করেছেন সুস্মিতা সেন! কী ভাবে তিনি সুস্থ হয়েছেন, জানুন …

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Dec 02, 2021 | 3:10 PM

Sushmita Sen: ২০১৪-১৮ এই ৪ বছর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন সুস্মিতা। কী ভাবে তিনি সুস্থ হলেন? জানুন...

Addison: এই বিরল রোগে সঙ্গে লড়াই করেছেন সুস্মিতা সেন! কী ভাবে তিনি সুস্থ হয়েছেন, জানুন ...
জানুন কী ভাবে সুস্থ হলেন সুস্মিতা

Follow Us

অভিনয়ের পাশাপাশি ফিটনেস নিয়ে বরাবরই খুব সচেতন সুস্মিতা সেন। সেই ঝলক মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিয়মিত যোগার পাশাপাশি ক্যারাটেতেও দক্ষ অভিনেত্রী। এছাড়াও সুস্মিতা অভিনীত চরিত্ররা বরাবরই একটু অন্যরকম, চ্যালেঞ্জিং। বাস্তব জীবনেও প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী কিন্তু একইরকম। একার দায়িত্বে মানুষ করছেন দুই মেয়েকে। বেশ কম বয়সেই তিনি মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

কিছুদিন আগেই সুস্মিতা সেন জানান, ২০১৪-১৮ পর্যন্ত ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম বছর। কারণ অ্যাডিসনের (Addison) মতো বিরল রোগের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এমনকী নিজেও জানতেন না নএই রেগ বিষয়ে। সেই রোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুস্মিতা জানান, ‘ওই দিনগুলো তাঁর খুব কষ্টে কেটেছে। ওষুধ হিসেবে তাঁকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হত। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল মারাত্মক’।

সুস্মিতা বলেন, ‘আমি লড়াই করার সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম’। ৪ বছর ধরে ভোগার পর অবশেষে তিনি সুস্থ হয়েছেন। সেই সময় নিয়মিত তিনি একটি ব্যায়াম করতেন। তবেই তিনি সুস্থ হন। কিন্তু ২০১৪ সালে তাঁর যে ফিটনেস ছিল তা এখন কমে গিয়েছে অনেকখানি।

অ্যাডিসন বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন এই রোগ সম্পর্কে প্রথম আমি জানতে পারি খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। আরও ভেঙে পড়েছিলাম যখন শুনলাম এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এরকেবারেই কমিয়ে দেয়। সেই সময় আমার মন জুড়ে শুধুই বিষন্নতা। কিন্তু মনকে তো শক্তিশালী করতেই হবে। আর সেই উপায় আমি অনেক খুঁজে বের করেছিলাম’। নিয়মিত ওয়ার্কআউটের ফলেই সুস্মিতা এই বিরল রোগকে জয় করেছিলেন।

অ্যাডিসন এমন একটি রোগ যেখানে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি ঠিক করে হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। সেই সঙ্গে কর্টিসোল হরমোনও পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না। অ্যালডোস্টেরনও খুব কম পরিমাণে তৈরি হয়- যা সরাসরি প্রভাব ফেলে কিডনিতে। এই রোগ যে কোনও সময় যে কোনও মানুষের হতে পারে। কিন্তু রোগ লক্ষণ সহজে প্রকাশ পায় না। খুব ধীরে ধীরে লক্ষণ দেখা দেয়, যার ফলে প্রথমেই একে শনাক্ত করা যায় না। তবে সময়মতো চিকিৎসা না শুরু হলে এর ফল হতে পারে মারাত্মক। অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা, ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, লো ব্লাড প্রেসার এবং নুন খাওয়াক প্রবণতা এসব বাড়তে থাকে। অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করলে এই সমস্যা আসতেই পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কগমে গেলে এই সমস্যা অনেক বেশি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাডিসমের জন্য এই কারণই দায়ী।

সুস্থ হয়ে ওঠার পর ৪৬ নছরের এই অভিনেত্রী জানান, নানচাকু ওয়ার্কআউটই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এবং নিয়মিত এই ব্যায়াম করেই এখন সুস্থ আছেন সুস্মিতা। সময়মতো এই এক্সসারসাইজ করার জন্যই তিনি এখন ভাল আছেন। শরীরে বেড়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তবে সুস্মিতা এখনও সেই সব ব্যায়াম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর ওয়ার্ক আউট চাট সম্প্রতি তিনি শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে যোগাসন, মেডিটেশন করেন তিনি।

নানচাকু প্রধানত যাঁরা মার্শাল আর্ট শেখেন তাঁদের শেখানো হয়। প্রশিক্ষণ না নিয়ে কিন্তু এই এক্সসারসাইজ করা যায় না। আর এর জন্য সুস্মিতা ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর ট্রেনার নূপুর শিখরকে।

আরও পড়ুন: Women’s Health: সাবধান! ঋতুস্রাবের সময় হওয়া এই সমস্যাগুলি একেবারেই এড়িয়ে যাবেন না

Next Article