একটি অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন একটি ক্লিনিকাল পদ্ধতি যা স্বাস্থ্যকর কোষগুলির সঙ্গে একটি অস্বাস্থ্যকর অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করে। এটি নির্দিষ্ট ধরনের রক্তের রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পরিচালিত হয়, যেমন লিউকেমিয়া, মাইলোমা, লিম্ফোমা, ট্রান্সফিউশন নির্ভর থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল ডিজিজ এবং অন্যান্য গুরুতর রক্ত সম্পর্কিত ইমিউন সিস্টেমের রোগ।
বিশ্ব ম্যারো দাতা দিবস (World Marrow Donor Day) বিশ্বব্যাপী সমস্ত রক্ত স্টেম সেল দাতাদের ধন্যবাদ জানাতে সেপ্টেম্বরের প্রতি তৃতীয় শনিবার সারা বিশ্বে পালিত হয়। স্টেম সেল দানের গুরুত্ব এবং রোগীদের জীবনে রক্ত স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি উৎসর্গীকৃত।
রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রাণঘাতী রোগ থেকে সাবধান
রক্ত সম্পর্কিত প্রাণঘাতী রোগ রয়েছে অনেক। এই জাতীয় রোগের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে রক্তাল্পতা, জ্বর, ক্রমাগত জন্ডিস, শক্তির মাত্রা হ্রাস পাওয়া, ঘন ঘন রক্ত সঞ্চালন, রক্তপাতের প্রকাশ, সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি ইত্যাদি। নয়াদিল্লি ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট, পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি, অনকোলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজ ও সেন্টার ফর বিএমটি অ্যান্ড সিটি -এর ক্লিনিকাল লিড ড. গৌরব খারিয়া জানিয়েছেন, এই রোগের অধিকাংশের একমাত্র নিরাময়মূলক চিকিত্সা হল হাড়ের ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা। তাঁর মতে, যে কোনও রোগীর বিএমি করানোর জন্য বিশেষত ১০/১০ এইচএলএ মিলিত দাতার প্রয়োজন হয়। তবে কখনও কখনও ভাই-বোন বা বাবা-মায়ের সম্পর্কহীন দাতাও হতে পারে।
ব্লাড স্টেম সেল দাতা হিসেবে কে রেজিস্ট্রার করতে পারেন?
১৮ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যে কোনও সুস্থ ব্যক্তি। তবে জেনেটিক্যালি মিলে যাওয়া দাতা খুঁজে পাওয়া জীবনের উপহার। ভারতের মতো দেশের প্রা. ৪.৬ লক্ষ রেডিস্ট্রারড ডোনার রয়েছে। তবে জনসংখ্যার নিরিক্ষে প্রায় ১ শতাংশেরও কম। এমনটাই জানাচ্ছেন DATRI-র কাউন্সেলিং অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার ম্যানেজমেন্টের প্রধান মুমতি মিশ্র। ২০০৯ সালে মারাত্মক রোগে আক্রান্তদের জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্য নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে গড়ে উঠেছিল। একটি ব্লাড স্টেম সেল ডোনেশনের ক্ষেত্রে অগ্রণী হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। সেই সঙ্গে ভারতের বৃহত্তম ব্লাড স্টেম সেল ডোনার রেজিস্ট্রি হিসেবেও মান্য করা হয়।
কোভিড -১৯ পরিস্থিতে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন
মারাত্মক রক্তের রোগে আক্রান্ত রোগীরা ইমিউনোকম্প্রোমাইজড, তাই মহামারী তাদের সময়মত চিকিৎসায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। ফলে হাসপাতালের বিজ্ঞপ্তিগুলিতে বলা হয়েছে, এমন ইমিউনোকম্প্রোমাইজড রোগীদের অন্যান্য রোগীদের সাথে মিশতে এবং তাদের দ্বিতীয় সংক্রমণ ধরা পড়ার ঝুঁকি কমাতে কেন্দ্রের কাছাকাছি বিএমটি ফলোআপ ওপিডিও স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পডুন: Dengue Prevention: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মধ্যে তফাৎ না করেই কোনওরকম ওষুধ খাবেন না!