হিন্দি ও বাংলায় যেটি গুড় নামে পরিচিত, সেই গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যের উপকরিতা রয়েছে। ঠাকমা-দিদাদের মতো আগেকার দিনের মানুষজন গুড় নিয়ে নানান কথা আলোচনা করে থাকেন। কিংবা নারকেল নাড়ু করার সময় বা চিনির বদলে কোনও রান্নায় গুড় ব্যবহার করতে দেখতে পারেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার মিষ্টির জন্য চিনির বদলে গুড় ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা গুড়ের স্বাদ পছন্দ করেন না। পুষ্টিবিদ ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ মুনমুন গানেরিওয়াল জানিয়েছেন, খেজুরের গুড়ের মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা তালিকা তৈরি করলে শেষই হবে না।
খেজুর গুড়ের উপকারিতা
খেজুর গুড় হল এমনই একপ্রকার গুড়, যা চকোলেটের মতো স্বাদযুক্ত ও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। খেজুর গুড়ের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন। পুষ্টিবিদ মুনমুন জানিয়েছেন, মাদুরাইতে যোগা শিক্ষকরে প্রশিক্ষণের সময় এই গুড়ের স্বাস্থ্যকর গুণ আবিষ্কার করতে পারেন। মিহি চিনির সঙ্গে গুড়ের তুলনা করলে উত্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেও গুড়ের খনিজগুলি অক্ষত থাকে। যা চিনির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। খেজুড় গুড়ে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার।
তামিলনাড়ুতে গুড়কে কারুপট্টি বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি খেজুর গুড় ব্যবহার করা হয়। শুধু মিষ্টি তৈরিতে নয়, দক্ষিণের জনপ্রিয় ফিল্টার কফিতেও গুড় ব্যবহার করা হয়। তামিলনাড়ুতেই শুধু খেজুর গুড়ের মাহাত্ম্য রয়েছে তা নয়, পশ্চিমবঙ্গেও এই গুড়কে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়। নোলেন গুড় যাকে বলে তা এই খেজুর গুড়ই। এই সুস্বাদু গুড় দিয়েই জনপ্রিয় মিষ্টি সন্দেশ তৈরি করা হয়।
আয়রনের বড় উত্সস্থল হল খেজুরের গুড়। এর জেকে রক্তাল্পতার জন্য একটি দুর্দান্ত প্রতিষেধক। এতে কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। আসল কারুপট্টি সাধারণত শক্ত ধরনের হয়, খুব তাড়াতাড়ি দ্রবীভূত হয় না। তবে কেনার সময় একটু সচেতন হিসেবেই কিনবেন। মসৃণ, সুন্দর ও কালচে রঙের গুড় বেছে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, দেখতে যতটা সুন্দর, ঠিক ততটাই পরিমার্জিত। এমনটাই জানিয়েছেন ওই পুষ্টিবিদ।
আরও পড়ুন: Thyroid eye disease: থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হলে চোখের সমস্য়া এড়িয়ে যাবেন না!