স্তন ক্যান্সারের সাথে যুক্ত প্রায় ২০০টি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন খাবার প্যাকেজিং এবং প্লাস্টিকের খাবার রাখার পাত্রে। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে এক গবেষণায়। এর মধ্যে আবার কয়েক ডজন ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে।
ফুড প্যাকেজিং ফোরামের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণায় এই কার্সিনোজেন এবং স্বাস্থ্যের উপর তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এসেছে।
জেন মুনকেক গবেষণার সহ লেখক জানিয়েছেন ৭৬টি পরিচিত বা সম্ভাব্য স্তন ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য এই ধরনের যৌগের খাদ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন বস্তু থেকে অপসারণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে এই রাসায়নিকগুলির মধ্যে ৪০টি ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, কিন্তু এখনও প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত হয়, যা তাদের খাবারেও প্রবেশ করে। সাইলেন্ট স্প্রিং ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী জেনি কে, মানব দেহের জন্য বিপদজনক এই রাসায়নিকগুলির ক্রমাগত ব্যবহার নিয়ে সচেতন করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের এক্সপোজার সহ নানা কারণে অল্পবয়সী মহিলাদের স্তন ক্যানসারের হার ক্রমবর্ধমান। স্থূলতা, মদ্যপান এবং শরীরচর্চার অভাব ক্যানসারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
পারফ্লুরোঅ্যালকালাইল এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইলের মতো ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক’ বা ‘ফরেভার কেমিক্যাল’-এর উপস্থিতিও অন্যতম চিন্তার কারণ।