জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) তথ্য অনুযায়ী,,মাতৃদুগ্ধ শিশুদের কাছে জীবনদায়ী ও সবচেয়ে বেশি কার্যকরী উপায় । স্তন্যদুগ্ধ শুধু একটি শিশুকে বড় করে তুলতে বা কাওয়ার রসদ জোগাতেই সাহায্য করে তাই নয়, শিশুর সার্বিক বিকাশ ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা যাতে পরবর্তী জীবনে না আসে তার একচি প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করে। মাতৃদুগ্ধের কারণে শিশুর মধ্যে কোন কোন রোগর প্রবণতা কম হয়, তা জেনে নিন
ডায়রিয়া-
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাতৃদুগ্ধ শিশুর ডায়রিয়া থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা হ্রাস করে। স্তন্যদুগ্ধে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইমিউনোলজিক্যাল ও নন-ইমিউন উপাদান, যা সদ্যোজের এন্টারোপ্যাথোজেন থেকে রক্ষা করে।
শ্বাসযতন্ত্রের অসুস্থতা
আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে জানা গিয়েছে, যে মা সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ খাওয়ান , সেই সব শিশুদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রজনিত কোন রোগ ধারেকাছে আসতে পারে না। গবেষণার ফল অনুসারে, শিশুর জীবনের প্রথম মাসে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের তীব্রতা কমিয়ে আনে। যেমন এলআরআই-এর মতো ঘটনা কম ঘটে।
হঠাত্ শিশুমৃত্যুর সিন্ড্রোম
মাতৃদুগ্ধের আরও একটি সুবিধা হল হঠাত করে শিশুমৃত্যুর প্রবণতা হ্রাস করে। Sudden Infant Death Syndrome (SIDS) হল এক বছরের কম বয়সি নবজাতকের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু। যা ঘুমানোর সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে সাধারণত। মাঝেমাঝেই সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। সেইগুলির মধ্যে অনেকেই এই সিন্ড্রোমে মারা যায়। শিশুর মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঘুম থেকে জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে, এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও কারণে শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর প্রবণতা দেখা যায়। তবে এর উত্স এখনও অজানা। তবে এই সিন্ড্রোমের ঘটনা ৫০ শতাংশ হ্রাস করার পিছনে রয়েছে পর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধ সেবন করা।
শিশুর ওজন বৃদ্ধি রোধ করে
পেডিয়াট্রিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব শিশু বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে খেয়েছে, তাদের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি হওয়া বা মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মাতৃদুগ্ধের কারমে স্বাস্থ্যকর ব্যকটেরিয়ার বৃদ্ধি, স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও পরবর্তীধাপে কঠিন পদার্থের সঙ্গে পরিচয় করানো পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো যেতে পারে। এতে স্থূলতা রোধে সাহায্য করে।