AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetics: ডায়াবেটিসের রোগীরা কি খেজুর খেতে পারেন?

Diabetics: সুগার ধরা পড়লেই প্রথম বাদ দিতে হবে চিনিবা মিষ্টি জাতীয় খাবার বা এমন কোনও খাবার যার গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স অত্যন্ত বেশি। তেমনই সুগার ধরা পড়লে অনেকেই বলেন খেজুর খাওয়া যাবে না। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

Diabetics: ডায়াবেটিসের রোগীরা কি খেজুর খেতে পারেন?
| Updated on: Aug 05, 2025 | 12:54 PM
Share

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৮৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২২ সালে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৪ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগেছেন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি হল খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ। কারণ, আপনি কী খান তা সরাসরি আপনার রক্তে গ্লুকোজের উপর প্রভাব ফেলে। তাই সুগার ধরা পড়লেই প্রথম বাদ দিতে হবে চিনিবা মিষ্টি জাতীয় খাবার বা এমন কোনও খাবার যার গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স অত্যন্ত বেশি। তেমনই সুগার ধরা পড়লে অনেকেই বলেন খেজুর খাওয়া যাবে না। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

ডায়াবেটিস থাকলে কি খেজুর খাওয়া উচিত?

অনেক ডায়াবেটিস রোগীই খেজুর খাওয়া নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। খেজুর স্বাভাবিকভাবে মিষ্টি। এই ড্রাই ফ্রুটে, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর থাকে। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তাই অনেকেই নিয়মিত খেজুর খান। ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন?

খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার শরীরে চিনির শোষণের গতি কমিয়ে দেয়। যা পরিমিত মাত্রায় খেলে চিনি বা মিষ্টির চেয়ে অনেক ভাল বিকল্প হতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১–২টি খেজুর খেলে বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বাড়ে না। এর পেছনে কাজ করে খেজুরে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফিনোলিক অ্যাসিড, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও প্রদাহ কমায়।

মনে রাখবেন, খেজুর বেশি খেলেই রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই সবসময় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খেজুর খাওয়ার সময় একে বাদাম, দই বা ফাইবারযুক্ত খাবারের সঙ্গে খেলে হজম ধীরে হয় এবং রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বাড়ে না। তবে ডায়েটে বড় কোনও পরিবর্তন আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।