Health Tips: অনেকের রাতে খাবার খাওয়ার পর অল্প করে মদ্যপান করার অভ্যাস রয়েছে। অনেকে মনে করেন, সারাদিনের মানসিক চাপ কমাতে সামান্য মদ্যপান (Alcohol) শরীরের ক্লান্তি দূর করেন। আবার অনেকের ধারণা রয়েছে যে, ঘুমানোর আগে মদ্যপান করলে ঘুম ভাল হয়। এতে নাকি অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই এই মদ্যপানের অভ্যাসকে অনেকেই ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করেন। কিন্তু এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? মদ্যপান কখনোই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস (Healthy Habits) নয়। বহু গবেষণায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত মদ্যপান করলে বাড়তে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং তৈরি হয় হার্ট সংক্রান্ত একাধিক রোগ। এমনটাও নয় যে মানুষ এই সব বিষয়ে অবগত নয়। কিন্তু তবুও ঘুমানোর আগে অনেকেই ডুব দেন নেশায়। এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল পান করলে তা প্রভাব ফেলে ঘুমের ওপর। কিন্তু সেটা ইতিবাচক নয়। অর্থাৎ কেউ যদি মনে করেন যে অনিদ্রার সমস্যা দূর করার জন্য এক পেগ রাম পান করবেন, এই চিন্তাভাবনা ভুল। বরং এই অভ্যাস ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। কোনও মানুষই একটানা একই ভাবে ঘুমতে পারেন না। কখনও ঘুম গভীর হয়, আবার কখনও একটুতেই ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু যেই মুহূর্তে আপনি অ্যালকোহল পান করেন এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। মদ খেলে ঘুম ভাল হয় না, উপরন্ত আরও সমস্যা তৈরি করে।
প্রাথমিক ভাবে অ্যালকোহল পান করলে একটু ঝিমুনি ভাব আসে। আসলে অ্যালকোহল গামাঅ্যামাইনোবিউটারিক অ্যাসিড নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটারের উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে ঘুম ঘুম ভাব বা হালকা তন্দ্রা আসে। এই সময় যদি প্রাথমিক ভাবে ঘুম চলে আসে তাতেও ক্ষতি হয়। সহজেই ঘুম ধরতে চায় না। কিংবা ঘুম ধরে গেলেও মাঝে মাঝেই ভেঙে যায়। তার মধ্যে বিচিত্র স্বপ্নও আসে। ঘুম গভীরও হয় না। এতে বেশ ক্লান্তি বাড়ে।
বেশি হোক বা অল্প অ্যালকোহল পান করলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উপরন্ত অ্যালকোহল পান করলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ মূত্র উৎপাদন হয়। গভীর ঘুমের মধ্যে মূত্রত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে মদ্যপান করলে আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। মদ মাংসপেশিকে শিথিল করে দেয়। এর গলে ঘুমের মধ্যেই শ্বাসনালীর আকস্মিক সঙ্কোচন হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দম বন্ধ হয়ে আসার প্রবণতা দেখা দেয়। যাঁদের ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের এই রোগের ঝুঁকি আরও বেশি। তাই বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে ঘুমতে যাওয়ার আগে মদ্যপান না করাই ভাল।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩টি ধাপ মেনে কমান মানসিক চাপ! পরামর্শ দিচ্ছেন করিনার পুষ্টিবিদ