রক্তচাপ বেড়ে গেলে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে প্রতিদিন ওষুধ খেতেই হবে। একদিনও ওষুধ বাদ দিলে বাড়তে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপই হৃদরোগ ডেকে আনে। তবে, শুধু খেয়েই যে রক্তচাপকে বশে রাখা যায়, তা নয়। খাওয়া-দাওয়ায় খুব বেশি হেরফের না হলেও, কাঁচা নুন খাওয়ার প্রতি রাশ টানেন অনেকেই। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা যাতে হেরফের না হয়, তার জন্যই খাবারে নুনের পরিমাণ কমানো দরকার। তবে, শুধু নুন খাওয়া কমালেই হবে না, জাঙ্ক ফুডের প্রতিও আসক্তি কমাতে হবে। কিন্তু কোন খাবার রোজ খেলে রক্তচাপের সমস্যা বশে থাকবে, জানেন?
উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে লাইফস্টাইলে বদল আনতে হবে। বেশ কিছু খাবার যেমন ডায়েট থেকে বাদ দেবেন, একইভাবে, কিছু খাবার যোগও করতে হবে। হাইপারটেনশনের ডায়েটে তাজা ফল, শাকসবজি থাকেই। কিন্তু দই রাখেন কি? দই হল এমন একটি খাবার, যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপের সমস্যায় উপযোগী দই।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এপিডিমায়োলজি ও লাইফস্টাইলে ২০১৬ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, যেসব মহিলা সপ্তাহে পাঁচ বা তার বেশি বার দই খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাই দই খেয়ে আপনি এই স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারেন।
রোজের ডায়েটে দই রাখলে এটি একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রদান করে। দইয়ের মধ্যে ভিটামিন বি১২, ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। তাছাড়া এই খাবার প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। যদিও দই জনপ্রিয় এর প্রোবায়োটিক উপাদানের জন্য। দই খেলে হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
তবে, দই সরাসরি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না। দইতে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য উপযোগী। এছাড়া দইতে ক্যালশিয়াম থাকে, যা মাংসপেশি গঠনে এবং হার্টের পেশির জন্য ভাল। দই খাওয়ার উপকারিতা হল, এটি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যেহেতু ওবেসিটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, তাই ওজন কমিয়ে আপনি এই রোগের হাত থেকে দূরে থাকতে পারেন। এভাবেই দই হাইপারটেনশনের ক্ষেত্রে উপযোগী। কিন্তু আপনাকে লো-ফ্যাট দই খেতে হবে। দইতে কোনও চিনি মেশালে চলবে না। রোজ একবাটি করে দই খেলেই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।