পিরিয়ডের সময় কন্ডোম ছাড়া সেক্স, গর্ভধারণের সম্ভাবনা কতটা?
Pregnancy-Women Health: অনেকের ধারণা পিরিয়ডের সময় সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটি কতটা সঠিক তথ্য? তাছাড়া পিরিয়ডের সময় বা পিরিয়ড শেষ হওয়ার সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কতটা বেশি কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।

পিরিয়ড চলাকালীন সেক্স করা নিরাপদ কি? এই প্রশ্ন কমবেশি সকলের মনে একবার হলেও কড়া নাড়ে। আর যদি এই প্রশ্নের উত্তর আপনিও খোঁজেন, তাহলে উত্তর হল হ্যাঁ। ঋতুস্রাব চলাকালীন আপনি নির্দ্বিধায় সেক্স করতে পারেন। যদি সংক্রমণ এড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই কন্ডোম ব্যবহার করুন। এবার যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে, পিরিয়ড চলাকালীন সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কতটা? তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য।
জীবনে নতুন সদস্যকে আনতে চান। বারবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়েও গর্ভবতী হচ্ছেন না। আইভিএফ করার আগে কিংবা কোনও চিকিৎসাপদ্ধতির সাহায্য নেওয়ার আগে, পিরিয়ডের সময় সেক্স করে দেখতে চান। অনেকের ধারণা পিরিয়ডের সময় সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটি কতটা সঠিক তথ্য, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে পিরিয়ডের সময় যৌন মিলনে লিপ্ত হলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম। প্রায় ৬০০০ মহিলার মধ্যে করা গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে এ বিষয়। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ডের শেষ দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু অনেক মহিলার ক্ষেত্রে পিরিয়ডের চতুর্থ দিনেও ফার্টিলিটির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঋতুস্রাবের সময় (কত দিন পর্যন্ত পিরিয়ড স্থায়ী হয়), শুক্রাণুর মান ও সেগুলোর বেঁচে থাকা, ডিম্বস্ফোটন এবং অনিয়মিত চক্রের মতো বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করছে আপনি প্রেগন্যান্ট হবেন কিনা। পিরিয়ডের সময় বা পিরিয়ড শেষ হওয়ার সেক্স করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কতটা বেশি, তা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।
১) যখন শুক্রাণু ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্গত ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন গর্ভধারণ করতে পারেন। যদিও ডিম্বস্ফোটন সাধারণত একজন মহিলার মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে। কারও ক্ষেত্রে আবার পিরিয়ডের শেষে হতে পারে। এক্ষেত্রে সময় বুঝে যৌন মিলনে লিপ্ত হতে হবে।
২) শুক্রাণু বীর্যপাতের পর বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত নারীর প্রজনন নালির মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে। যদি ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ডিম্বস্ফোটন হয়, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তবে, শুক্রাণুর মানও ভাল হওয়া চাই।
৩) অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম। বরং, এসব ক্ষেত্রে অসুরক্ষিত যৌন মিলনে কোনও রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। এছাড়া মানসিক চাপ, কোনও ওষুধ ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ডিম্বস্ফোটনকে প্রভাবিত করতে পারে। এক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় সেক্স করে প্রেগন্যান্ট হতেও পারেন আবার নাও হতে পারেন।
