পিরিয়়ের সময় সব মহিলাই কম-বেশি সমস্যায় ভোগেন। শারীরিক সমস্যায় সকলেই কাবু হন ঠিকই কিন্তু সবার ধরণ একরকম নয়। মূলত শরীর ভেদেই তা কিন্তু ভিন্ন হয়। কারোর ক্ষেত্রে যেমন পেট ব্যথা, কোমরে, হাতে, পায়ে ব্যথার সমস্যা হয় তেমনই আবার অনেকের খিদে মন্দা, জ্বর, বমি, ডায়েরিয়া-সহ একাধিক অসুবিধেয় পড়তে হয়। অনেকের মাথাব্যথাও হয়। স্বাভাবিক মাথাব্যথার তুলনায় এই পিরিয়ডকালীন মাথাব্যথা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। যাদের মাইগ্রেন বা সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই মাথাব্যথা আরও অনেক বেশি হয়। পিরিয়ডের সময় মাথাব্যথার প্রধান কারণ হল ইস্ট্রোজেনের তারতম্য। পিরিয়ডের সময় মাথাব্যথার প্রধান কারণ হল ইস্ট্রোজেনের তারতম্য। যাঁদের নিয়মিত ভাবে বার্থ কন্ট্রোল পিল খেতে হয়, যাদের হরমোনের সমস্যা রয়েছে এবং যাঁরা পিসিওএসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি হয়। এই ওষুধগুলি টানা ৩ সপ্তাহ খান বেশিরভাগ। সাধারণত ২১ দিনের সাইকেল থাকে। কিছুজনের ক্ষেত্রে ২৮ দিনেরও হয়। এই ওষুধের গুণে হরমোন থাকে নিয়ন্ত্রণে। ওষুধ যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যায়। আর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলেই মাথা ঝিমঝিম করে।
অনেকেই এই পিরিয়ডকালীন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। এই মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, খিদেমন্দা, মাথা ঘোরানো এসব উপসর্গও দেখা দেয়। সাধারণত পিরিয়ড শুরু হওয়ার দ্বিকতীয় দিন থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়। তবে এই সমস্যা হলে নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খান। তবে যে সব কারণে এই মাথাব্যথা হয়
হরমোনের অসামঞ্জস্যতা- মেয়েদের শরীরে প্রধান দুই হরমোন হল ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন। এই দুই হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় না থাকলে তখনই একাধিক সমস্যা হয়। পিরিয়়ড দেরিতে হয়। কারোর ক্ষেত্রে ২ মাস মেন্সট্রুয়েশন বন্ধ থাকে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়। শরীরে হরমোনের সামঞ্জস্যতা না থাকলে তখনই মাথা ধরে থাকা, মাথা ব্যথা সহ- একাধিক অসুবিধে দেখা দেয়।
হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি- অনেকের শরীরে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি চলে ওষুধের মাধ্যমে। এক্ষেত্রেও কিন্তু এই একই সমস্যায় পড়তে হয়। ইস্ট্রোজেনের মধ্যেও বিভিন্ন বিন্যাস থাকে। কোনও কারণে শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি হয়ে গেলে এই সমস্যা হয়। তাই প্রথমেই ওষুধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
পেরিমেনোপজ- মেনোপজের বেশ খানিকটা আগে অনেক মহিলারই একাধিক শারারিক সমস্যা আসে। মূলত স্র্টেস জনিত কারণেই এই সমস্য়া বেশি হয়। স্ট্রেস বাড়লে হরমোনের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। সেখান থেকেও কিন্তু মাথা ব্যথা হয়। অনেকেই ভাবেন মেনোপজ হয়ে গেলে েই মাথাব্যতা চলে যায়। তা কিন্তু নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের সমস্যা বাড়ে। চিন্তা বাড়ে। পরবর্তীতে এই স্ট্রেসের কারণে যাঁরা মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন তার জন্যও কিন্তু হরমোন দায়ী।
সুষম আহার- শরীরের নানা বিধ সমস্যা দূর করতে সুষম আহার কিন্তু ভীষণ জরুরি। রোজকার পাতে ভিটামিন, খনিজ বেশি পরিমাণে রাখুন। ফল বেশি করে খান। সেই সঙ্গে রোজ ১৫ মিনিট যোগা করতেও কিন্তু ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।