শীতকাল আসলেই একগুচ্ছ অসুখ-বিসুখ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে শীত বাড়লে সেই অসুখগুলোও বড় আকার নেয়। এই ধরুন হালকা কাশি শুরু হয়েছে। জ্বর জ্বর ভাব লাগছে। গা-হাত-পায়ে ব্যাথা। এ সব হলে খুব একটা ডাক্তারের পরামর্শ কেউ নেন না। খেয়ে নেন চট করে কিছু ওষুধ। এখানেই করে ফেলেন বড় ভুল। শীতে অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। সেই সময় আসলে উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া। নিজের চিকিৎসা নিজে করা একেবারেই উচিত নয়। তা হলে কী করা উচিত? TV9 Bangla-র হেলথ প্লাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডক্টর সুজন বর্ধন। সেখানেই তিনি দিয়েছেন কিছু টিপস।
পালমোনোলজিস্ট ডক্টর সুজন বর্ধন বলেন, ‘বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিরা শীতে যদি কাশির সমস্যায় ভোগেন বা শ্বাসকষ্ট হয়, অনেক সময় যে কোনও ওষুধ খেয়ে নেন। এটা করা ঠিক নয়। কো মর্বিডিটি থাকলে, ডায়াবেটিস, সিওপিডি, হাইপারটেনশ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের সেলফ মেডিকেশন উচিত নয়। খুব ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রেও ঠিক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনও ওষুধের সাইড এফেক্ট রয়েছে। যেমন ধরুন কাশির সিরাপ সালবুটমল। এটা হার্টরেট বাড়ায়। ২ চামচ দিনে চার-পাঁচ বার দিলে হঠাৎ করে হার্টরেট বেড়ে যেতে পারে। অস্বস্তি, হাত-পা কাঁপা, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তা খাওয়া উচিত।’
অনেকেই শরীরে ব্যাথা হলে, জ্বরজ্বর ভাব লাগলে প্যারাসিটামল খান। এতে সমস্যা নেই বলছেন পালমোনোলজিস্ট সুজন বর্ধন। তাঁর কথায়, ‘গা-হাত-পায়ে ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনও অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। রোগীর ব্যাকগ্রাউন্ড না জেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অনেক সমস্যা হয়। তাই কোনও ওষুধ হুট করে খাওয়া উচিত নয়।’