নির্ধারিত দিনের থেকে যদি ৭ দিন পিরিয়ড পিছিয়ে যায়, তাহলে অনেক মেয়েই চরম ভয়-আশঙ্কার মধ্যে থাকে, বিশেষত যাঁরা নিয়মিত ভাবে যৌন মিলন (Active Sex Life) করেন। প্রথমেই সকলে খারাপটা ধরে নেন। সবথেকে বেশি চাপে থাকেন সদ্যবিবাহিতরা। পরিবার, সন্তান এখন অনেকেই চান না। তবে পিরিয়ড মিস মানেই কিন্তু গর্ভবতী (Pregnant) হয়ে যাওয়া নয়, যেমনটা বেশিরভাগই ভেবে থাকেন। পিরিয়ড মিস হওয়া বা লেট হওয়ার অনেক কারণ থাকে। তবে অসুরক্ষিত যৌন জীবনযাপন (Without Condom Sex) করলে অন্য ব্যাপার। অনিয়মিত পিরিয়ডসের সঙ্গে স্ট্রেস, জীবনযাত্রা, হরমোন, ওবেসিটি অনেককিছুর যোগ থাকতে পারে। তাই গর্ভবতী না হয়েও পিরিয়ড মিস করার একাধিক কারণ রয়েছে।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে। একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এই ব্যায়াম যদি অতিরিক্ত হয়ে যায়, তাহলে সেখান থেকেও নানা সমস্যা আসে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। যার ফলে নিষিক্ত ডিম্বাণুর পরিমাণ কমে যায় এবং প্রভাব পড়ে মাসিকে। তবে একদিন বা দু’দিনের ব্যায়ামের ফলেই কিন্তু এরকমটা হয় না। দীর্ঘদিন ধরে যদি জিম বা অতিরিক্ত এক্সারসাইজ় করেন, তবেই হতে পারে এমন সমস্যা।
আরও যা কিছু হতে পারে আপনার পিরিয়ড মিস হবার কারণ
মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস থেকেও হতে পারে পিরিয়ডের সমস্যা। আজকাল মানসিক চাপে সকলেই ভুগছেন। যদি সেই মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে কিন্তু সেখান থেকে পিরিয়ড মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অত্যধিক চাপে থাকলে শরীরে কর্টিসল হরমোন তৈরি হয়। যে কারণে পিরিয়ড মিস হবার আশঙ্কা থেকে যায়।
হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে কিংবা বেড়ে গেলেও তার প্রভাব পড়তে পারে মাসিকে। ওজন বেড়ে গেলে বা ওবেসিটির সমস্যা হলেও সেখান থেকে মাসিক পিছিয়ে যেতে পারে। যাঁদের ডায়াবেটিস, অ্যানোরেক্সিয়ার মত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও প্রায়শই সংক্রমণ, পেটের সমস্যা ইত্যাদিতে ভুগলে এবং কিডনি, উচ্চরক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও হতে পারে এই সংক্রমণ।
সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঠিক পরে মায়েরা যখন স্তন্যপান করান, তখন অ্যামেনোরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা মোটেই পিরিয়ড নয়। চিকিৎসকরা বলছেন যে, বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মাসিক না হওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তার মানে এই নয় যে আবার গর্ভবতী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক মহিলারই এইসব ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই ভেবে নেন স্তন্যদান জন্মনিয়ন্ত্রণের একরকম মাধ্যম, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তাই দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা না থাকলে সাবধান হতে হবে নিজেকেই।
PCOS বা PCOD-এর সমস্যা থাকলে সেখান থেকে হতে পারে পিরিয়ডের সমস্যা। এক্ষেত্রে অনিয়মিত পিরিয়ড হল একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। ডিম্বাশয়ে সিস্ট হলে, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা হলে, ফ্যাটি লিভার থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু পিরিয়ড মিস হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।