শীত পড়তেই আমাদের চেনা ছন্দে আসে পরিবর্তন। সকালে ঘুম ভাঙতে যেমন দেরি হয় তেমনই শীতে অনিয়মও বেশি হয়। শীত মানেই ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া। ব্রেড, ওমলেট, সসজে কিংবা কচুরি-আলুরদমে ব্রেকফাস্ট সারার এটাই সেরা সময়। এছাড়াও পোলাও, বিরিয়ানি, মাটন, চিকেনের নানা পদ কিন্তু এই সময়ে জমিয়ে খেতে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। চা, কফিও তুলনায় শীতে বেশি খাওয়া হয়।
কিন্তু সমপরিমাণ জল খাওয়া হয় না। শীতে সকলেই জল কম খান। অনেকে ঠান্ডার কারণে গরম জল খেতে পছন্দ করেন। আবার প্রয়োজনে গরম জলে স্নানও করতে হয়। সব মিলিয়েই কিন্তু শরীর গরম থাকে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের শুষ্কতা তো থাকেই। এই সব মিলিয়েই কিন্তু বাড়ে হজমের সমস্যা, গ্যাস অম্বল। হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও (Constipation Problems)।
এছাড়াও শীতে ফাইবার প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া হয়। তুলনায় মাংস বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। শীতের আলসেমিতে শরীরচর্চা তো প্রায় হয়ই না। যে কারণে এই সময়ে যেমন খাওয়া-দাওয়া মজা হয় তেমনই কিন্তু শরীরের খেয়াল রাখাও জরুরি। নিয়ম করে সকালে উঠে এক গ্লাস গরম জল খান, প্রচুর পরিমাণ ফল খান, ফাইবার বেশি রাখুন খাদ্য তালিকায়। মাংসের পাশাপাশি সমপরিমাণ সবজিও খান। এছাড়াও তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই তিন শীতের ফলও-
আঙুর– শীত পড়তেই বাজারে এসে গিয়েছে আঙুর। প্রতি ১০০ গ্রাম আঙুরের মধ্যে ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার আমাদের হজমে যেমন সাহায্য করে তেমনই পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। আর তাই আঙুর অবশ্যই রাখুন রেোজকার ডায়েটে। দুপুরে খাবার খেয়ে টক-দই আর আঙুর মিশিয়ে একবাটি খেতে পারেন। এছাড়াও ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন ফ্রুট স্যালাড। কিংবা ওটস, মুজলির সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন।
কমলালেবু– একটা কমলালেবুর মধ্যে ফাইবার থাকে ৩ গ্রাম। প্রতিদিনের চাহিদার ১৩ % ফাইবার আসে এই কমলালেবু থেকেই। কমলালেবুর জুস খাওয়ার থেকে চিবিয়ে খেতে পারলেই ভাল। দুপুরে খাবারের পর খান। এছাড়াও ফ্রুট স্যালাডে যোগ করুন কমলালেবু। কমলালেবু, আপেল, বেদানা একসঙ্গে মিশিয়ে উপর থেকে একটু মধু ছড়িয়েও খেতে পারেন।
পেয়ারা– পেয়ারার মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন সি-এই দুই আছে। আর তাই যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন পেয়ারা। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারার মধ্যে জীবাণুরোধী (antimicrobial) বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। যা আমাদের মুখ, দাঁতের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
মনে রাখবেন, এই সব ফল ছাড়াও কিন্তু সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে। গরম জল নয়, প্রয়োজনে ইষদুষ্ণ গরম জল খান। চা, কফ যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে কিন্তু শরীর কষে যায়। রাতে শোওয়ার আগে গরম দুধও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Cooking Oil: অলিভ অয়েল নয়, স্বাস্থ্যগুণে এই তেলকেই সেরার তকমা দিলেন বিশেষজ্ঞরা