Corn Silk: ভুট্টা রান্নার সময় ‘কর্ন সিল্ক’ ফেলে দেওয়া মানে বোকামির কাজ! জেনে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 10, 2022 | 7:14 AM

Benefits of Corn Silk: একবার সেই সব স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানলে নিশ্চিতভাবে কোনওদিন আর ওই ফাইবার ফেলে দেওয়ার ভুল আপনি করবেন না।

Corn Silk: ভুট্টা রান্নার সময় কর্ন সিল্ক ফেলে দেওয়া মানে বোকামির কাজ! জেনে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপকার

Follow Us

পরিচিত দেশি খাবার ভুট্টা। বহু লোকই নানা ভাবে ভুট্টা খেতে পছন্দ করেন। ভারতে বেশির ভাগ ব্যক্তিই আগুনে ভুট্টা সেকে নুন ও লেবু মাখিয়ে খেতে ভালোবাসেন। তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই স্বাস্থ্যকর উপায়ে ভুট্টা খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই এখন আর পুড়িয়ে নয়, অনেকেই ভুট্টা খাচ্ছেন সিদ্ধ করে। ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট। এই কারণেই ভুট্টাকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডায়েটিশিয়ানরাও প্রতিদিনের ডায়েটে ভুট্টাকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। সমস্যা হল, ভুট্টা রান্না করার সময় ভুট্টার গায়ে লেগে থাকা রেশমের সুতোর মতো ফাইবার আমরা বাদ দিয়ে দিই। অথচ জানলে অবাক হবেন, এই রেশমের সুতোর মতো ফাইবারেরও রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। একবার সেই সব স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানলে নিশ্চিতভাবে কোনওদিন আর ওই ফাইবার ফেলে দেওয়ার ভুল আপনি করবেন না। প্রশ্ন হল, কী কী উপকার রয়েছে ওই ফাইবারের যে ভারতের নামী পুষ্টিবিদরা ফাইবার ফেলে দিতে নিষেধ করছেন? দেখা যাক—

কোলেস্টেরল হ্রাস করতে

বয়স্ক হোক বা কম বয়সি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাবৃদ্ধিজনিত সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। সঠিক উপায়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে তা হার্ট ডিজিজকে আমন্ত্রণ জানায়। কারণ দেহের মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তবাহী নালীতে জমে তৈরি করে প্লাক বা প্রতিবন্ধকতা। রক্তবাহী নালী ক্রমশ সরু ও শক্ত হয়ে যায়। রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। করোনারি আর্টারিতে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা বাড়িয়ে তোলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। তবে নিয়মিত খাদ্যের সঙ্গে ফাইবার গ্রহণ করলে শরীরে প্রবিষ্ট মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল বা ফ্যাটজাতীয় উপাদানকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল। তাই ভুট্টার সঙ্গে জুড়ে থাকা ফাইবার কখনওই ফেলে দেওয়া উচিত নয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে খাদ্যের সঙ্গে সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করলে তা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। অর্থাৎ ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। এছাড়া ফাইবারযুক্ত খাদ্যে ক্যালোরির মাত্রাও থাকে কম। ফলে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরি প্রবেশ করে না। রক্তে সুগারের মাত্রাও চট করে বাড়ে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণও সহজ হয়ে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

ভুট্টার ফাইবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় একথা আমরা ছোট থেকেই জানি। তাই কর্ন ফাইবার খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিন সি ঢোকে পর্যাপ্তমাত্রায় যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

আধুনিক যুগে ফাইবারযুক্ত খাদ্য যেমন শাকসব্জি খাওয়ার চল প্রায় উঠেই গিয়েছে। বরং সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে মাংস, ভাজাভুজি। ফাইবারের অভাবে হজমের বড়সড় গন্ডগোল দেখা দেয়। এছাড়া দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। কর্ন ফাইবার শরীরের ফাইবারের অভাব ও চাহিদা পূরণে সক্ষম। এমনকী হজম ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলতে পারে। দূরে রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য।

প্রেগন্যান্সি

সন্তানসম্ভবা মায়ের জন্য কর্ন ফাইবার অত্যন্ত উপযোগী কারণ কর্ন ফাইবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফোলিক অ্যাসিড। আমাদের মনে রাখতে হবে, ফোলিক অ্যাসিডের অভাবে গর্ভস্থ ভ্রূণের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে তৈরি না হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড় সন্তানসম্ভবা মায়ের দেহেও একাধিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই প্রেগন্যান্সি এলে অবশ্যই পাতে রাখুন কর্ন ফাইবার।

Next Article