নভেম্বরের শেষদিকে ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রখম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। একরকম ওমিক্রন সুনামি আকারেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। জানুয়ারি মাসে সংক্রমণের গ্রাফ চড়চড়িয়ে বাড়লেও সেই মাসের শেষ থেকেই তা নামতে শুরু করে। এই মুহূর্তে দেশে কোভিডের গ্রাফ নিম্নগামী। তবে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BA.1 এবং BA2 এর রিকম্বিন্যান্ট XE-এই এখন তান্ড চালাচ্ছে চিন, কোরিয়া, লন্ডনের মত বেশ কিছু জায়গায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামক ক্ষমতা ওমিক্রনের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ। যদিও ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের তেমন কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। কাজেই যাবতীয় বিধি নিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এদিকে গরমে নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়ে। অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট, জ্বর একাধিক সমস্যাও কিন্তু আসে।
করোনাভাইরাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। গত তিনটি তরঙ্গেই দেখা গিয়েছিল যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকেরই সমস্যা হয়েছিল শ্বাসযন্ত্রে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা তো ছিলই সেই সঙ্গে অনেকেরই গলা ব্যথা, কাশি, গলা চুলকোনো এসব সমস্যাও ছিল। এবার বসন্তে অ্যালার্জির সমস্যা হলেও সেখান থেকে এই গলা চুলকোনো, কাশি এসব সমস্যা আসে। হাতে র্যাশ বেরোয়। আর বসন্তে অটোইমিউন ডিজিজও বাড়ে। বিভিন্ন গাছের পরাগ রেনু থেকেও বাড়ে এই অ্যালার্জির প্রবণতা। সেই সঙ্গে কাশি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, গলা ব্যথা, হাঁচি, চোখ চুলকোনো, চুল দিয়ে জল পড়া, সর্দি, নাক বন্ধ এসব হয়েই থাকে। যা কিন্তু কোভিডেরও সাধারণ লক্ষণ। অ্যালার্জির সমস্যাও হেলাফেলা করা উচিত নয়। কারণ সেখান থেকেও পরবর্তীতে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে ঝুঁকি কমাতে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাড়িতে শিশু, বয়স্ক মানুষ থাকলে আগে থেকেই সাবধান হোন। কারণ সর্দি, কাশি, হাঁচির সমস্যা খুবই ছোঁয়াচে। অল্পেই সেখান থেকে অন্যরা সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে। যেহেতু বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, অনেকের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও থাকে, ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেশি জটিলতা আসতে পারে। আর এই সমস্যা যদি চারদিনের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করান।
রেস্তোরাঁ, শপিং মল, পার্ক, বিভিন্ন পর্যস্থন স্থল আবারও খুলতে শুরু করেছে। মানুষ সেখানে ভিড়ও জমাচ্ছেন। ফলে মাস্ক ছাড়া বেরোবেন না। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা যায়। কারণ এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কাজেই সতর্ক থাকুন।
যদি দেখেন যে অ্যালার্জির ওষুধ খাওয়ার পরও দু-তিনদিন সেই সমস্যা থেকে যাচ্ছে তাহলে কিন্তু আরটিপিসিআর করাতে দেরি করবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।