Omicron: ওমিক্রনের সংক্রমণ কি আসলে করোনার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ভ্যাকসিনের কাজ করে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jan 03, 2022 | 11:18 PM

ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে সতর্ক হতে হবে আমাদেরই। মাস্কের ব্যবহার, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মানতেই হবে।

Omicron: ওমিক্রনের সংক্রমণ কি আসলে করোনার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ভ্যাকসিনের কাজ করে?
বিশ্বের সব দেশেই ছড়িয়েছে ওমিক্রন

Follow Us

মাত্র এক মাসের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে সুনামির আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন এখনও তাঁগদের মধ্যে রোগ-লক্ষণে তেমন জটিলতা দেখা দেয়নি। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যে একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে তা কিন্তু নয়। বহু ক্ষেত্রেই এই ডেল্টা আর ওমিক্রন সম্মিলিত ভাবে আক্রমণ করছে। আর সেক্ষেত্রে কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। কিন্তু করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার তুলনায় অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আগের রূপগুলির তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ দ্রুত ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আর এই সংক্রমণের গ্রাফ দেখেই প্রমাদ গুণছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে বিশ্ব জুড়েই বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। খ্রিসমাসের পরের সপ্তাহেই এক ধাক্কায় চেড়েছে সংক্রমণের গ্রাফ। ভারতে দৈনিক ২৭,৫৫৫ জন আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। সেই সঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫২৫।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ডেল্টা আর ওমিক্রনের যৌথ সংক্রমণেই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ভেঙে পড়বে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ডেল্টার আক্রমণে ভারতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা কারোরই অজানা নয়। অক্সিজেনের অভাবে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে নতুন করে ওমিক্রনের হানায় স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর যে বেশ চাপ পড়বে একথা আগেই জানিয়েছিলেন হু-এর বিশেষজ্ঞরা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৪ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলে। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে রিপোর্ট করা হয় WHO-কে। ২৬ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসটিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবেই ঘোষণা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ওমিক্রনের। তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই কোভিডের দুটো টিকা নিয়ে ফেলেছেন তাঁরাও কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে। তবে ভ্যাকসিনের ফলে শরীরে প্রাকৃতিক ভাবেই গড়ে উঠেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যে কারণে ওমিক্রনের উপসর্গ এখনও ততটাও কাবু করতে পারেনি মানুষকে।

সেই সঙ্গে বেশ কিছু চিকিৎসক দাবি করেছেন, ওমিক্রন যে ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হবেন ঠিকই। সেই সঙ্গে ওমিক্রন কিন্তু কাজ করবে প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন হিসেবেই। যা আমাদের শরীরে বাড়িয়ে তুলবে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা। রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ইয়ং জোন্স সম্প্রতি ওমিক্রনের মধ্যে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যে কারণে তিনি আরও বলছেন, ওমিক্রন ঝুঁকি না বাড়িয়েই শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে ওমিক্রনই কিন্তু কাজ করবে প্রাকৃতিক টিকা হিসেবে। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আবার একমত নন। তাঁদের মতে এই ধারণা বিপজ্জনক। বরং এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। লোকেরা সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা কিংবা মাস্কের ব্যবহার কোনওটাই করছেন না। যে কারণে আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। টিকা সকলকে নিতেই হবে। এমনকী বুস্টার ডোজও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ নিয়ম মেনে চলা এবং টিকাকরণই রক্ষা করতে পারে সংক্রমণের হাত থেকে।

আরও পড়ুন: Tonsil infection: শীত পড়লেই টনসিলে কাবু? সুস্থ থাকতে দেখে নিন ঘরোয়া টোটকা

Next Article