AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cholesterol Guidelines: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে বিপদঘণ্টা শুরু? নির্দেশিকা দিল CSI

Cholesterol Control Tips: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, অ্যালকোহল এবং তামাক ছেড়ে দেওয়া এবং চিনি খাওয়া কমানো প্রয়োজন। হৃদরোগ, স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগী বা ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত।

Cholesterol Guidelines: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে বিপদঘণ্টা শুরু? নির্দেশিকা দিল CSI
রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপন। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি
| Updated on: Jul 05, 2024 | 8:19 PM
Share

হার্ট সুস্থ থাকলেই থাকবেন ফিট। তবে হার্ট সুস্থ রাখার জন্য রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। এটার হেরফের হলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এবার এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (CSI)। এই প্রথম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল ভারত।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিকে এককথায় বলে ডিসলিপিডেমিয়া রোগ। ভারতে ডিসলিপিডেমিয়া রোগের প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। তাই এই রোগ এবং এর চিকিত্সা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য ভারতের প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে CSI। নির্দেশিকায় শরীরের মোট কোলেস্টেরল, এলডিএল-কোলেস্টেরল (খারাপ কোলেস্টেরল), এইচডিএল-কোলেস্টেরল (ভাল কোলেস্টেরল) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার (সিএসআই) সভাপতি ডাঃ প্রতাপ চন্দ্র রথ জানিয়েছেন যে, ডিসলিপিডেমিয়া একটি নীরব ঘাতক, যার লক্ষণগুলি প্রায়শই দেখা যায় না। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীরে বাড়তে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাক-সহ আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দুর্জতি প্রসাদ সিনহা জানান, কোলেস্টেরল শনাক্ত করার জন্য লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করানো উচিত। শরীরে লিপিডের মাত্রা নির্ধারণের জন্য এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত?

ডা. দুর্জতি প্রসাদ জানান, সাধারণ মানুষের মধ্যে LDL-C (খারাপ কোলেস্টেরল) এর মাত্রা ১০০ mg/dl এবং নন-HDL-C এর মাত্রা ১৩০ mg/dl-এর নীচে হওয়া উচিত। যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের সহ উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের LDL-C ৭০ mg/dL এবং নন-HDL ১০০ mg/dL-এর নীচে থাকা উচিত। এর বেশি বা কম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

নতুন দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং লিপিড গাইডলাইনের চেয়ারম্যান ডা. সাহনে জানান, খুব উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের, যাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হয়েছে বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ রয়েছে, তাদের LDL-C মাত্রা ৫৫ mg/dL বা নন-HDL মাত্রা ৮৫ mg/dL-এর নীচে থাকা উচিত।

কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবেন?

ডঃ জে. পুনশ্চ সাহনে জানান, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, অ্যালকোহল এবং তামাক ছেড়ে দেওয়া এবং চিনি খাওয়া কমানো প্রয়োজন। হৃদরোগ, স্ট্রোক হয়েছে এমন রোগী বা ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত।