Dengue News Update: ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে! সেক্ষেত্রে কী কী উপায় আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে জেনে নিন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়

Sep 21, 2021 | 8:56 AM

যদি একজন গর্ভবতী মহিলা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তাহলে গর্ভাবস্থা বা সন্তান প্রসবের সময় ভাইরাসটি খুব সহজেই ভ্রূণে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগ অর্গ্যান ডোনেশন এবং রক্ত ​​সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

Dengue News Update: ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে! সেক্ষেত্রে কী কী উপায় আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে জেনে নিন...

Follow Us

প্যান্ডেমিকের পর প্রায় ২ বছর কাটিয়ে ফেলেছি আমরা। ভবিষ্যতে ভয়াবহ কিছু আসবে কি না তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যায় না। ভারতে যখন কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে মোকাবিলা চলছে, সেখানে হঠাৎ করেই একাধিক রাজ্যে ডেঙ্গুর মাত্রা বাড়ছে। ভারতের উত্তর প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে শিশুরা প্রায়ই এই রোগে আক্রান্ত হয়। সম্প্রতি, ICMR- এর কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে, ডেঙ্গুর D2 বা DENV-2 স্ট্রেন উত্তরপ্রদেশের নির্দিষ্ট জেলায় পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে ডেঙ্গু ভাইরাস সেরোটাইপ টু (D2) বেশি ক্ষতিকারক এবং ভাইরাল। শুধুমাত্র মুম্বইতে অগাস্ট মাসে ডেঙ্গুর ১৪৪ টি ঘটনা ঘটেছে। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ৮৫ ছিল। তথ্য আরও দেখিয়েছে যে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে শহরে প্রায় ৩০৫ টি মামলা হয়েছে।

এই সংখ্যাগুলি বিভিন্নভাবে আমাদের সতর্ক করে তুলছে। একেই করোনা এখনও নির্মূল হয়নি, তার ওপর ডেঙ্গুর এই দ্রুত হারে সংক্রমণ। এমনকি অনেক মানুষ আছেন যারা কোভিড আর ডেঙ্গু দুটো সংক্রমণ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

ডেঙ্গুর সংক্রমণ:

ডেঙ্গু সাধারণত Aedes বংশের মশার কামড়ে হয়। এই একই মশা জিকা এবং চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও এজেন্ট। যদি একজন গর্ভবতী মহিলা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তাহলে গর্ভাবস্থা বা সন্তান প্রসবের সময় ভাইরাসটি খুব সহজেই ভ্রূণে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগ অর্গ্যান ডোনেশন এবং রক্ত ​​সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ডেঙ্গুর লক্ষণ:

ডেঙ্গুর প্রাথমিক জ্বর: জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা, খুব বেশি পরিমাণে জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, ঘন ঘন বমি হওয়া এবং তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। এই লক্ষণগুলি সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গেই কমতে থাকে। এটা খুব বেশি মারাত্মক হয় না।

ডেঙ্গুর হেমোরেজিক জ্বর: মাড়ি, নাক, মুখ থেকে রক্ত ​​পড়া শুরু হয়। রক্তের প্লেটলেট মারাত্মক কমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, ডায়রিয়া, খিঁচুনি, ত্বকে রক্তের দাগ, তীব্র জ্বর এবং পেটে মারাত্মক ব্যথা এই রোগের লক্ষণ। যথাযথ চিকিৎসা ছাড়া পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে।

সতর্কতা:

  • গাছের টব, বালতি বা আপনার বাড়ির কোনও খোলা জায়গায় জল জমতে দেবেন না। কমপক্ষে এক দিন ছাড়া গাছের টবের প্লেট পরিষ্কার করুন। মশা সাধারণত এই জমে থাকা জলেই ডিম পাড়ে।
  • খোলা ড্রেন, জমে থাকা জল থেকে দূরে থাকুন। এগুলো মশার নিখুঁত প্রজনন ক্ষেত্র।
  • বাইরে যাওয়ার সময় মশার প্রতিরোধক ক্রিম মেখে নিন বা ফুল হাতা জামা পরুন।
  • বাড়িতে মশারি এবং স্প্রে ব্যবহার করুন। 
  • সন্ধ্যায় জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখুন।
  • ঘরে রান্না করা তাজা খাবার খান। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপনার ডায়েটে সবুজ শাক সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।

আরও পড়ুন: সকাল থেকে রাত, কোন ডায়েটের জাদুতে ওজন কমিয়ে এত ফিট হলেন বিরাট!

আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পান ঘরোয়া উপায়ে!

Next Article