AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Apple: রাতে ঘুমনোর আগে আপেলে কামড় দিচ্ছেন? জানেন এই ফল ঘুমের ‘বন্ধু’ নাকি ‘শত্রু’?

আপেল নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর এবং হালকা স্ন্যাকের কাজ করে। তবে সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে, ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে ফাইবার-সমৃদ্ধ আপেল খাওয়া কি শরীরের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ? নাকি এর কিছু গোপন ঝুঁকিও আছে? চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Apple: রাতে ঘুমনোর আগে আপেলে কামড় দিচ্ছেন? জানেন এই ফল ঘুমের 'বন্ধু' নাকি 'শত্রু'?
রাতে ঘুমনোর আগে আপেলে খাচ্ছেন? জানেন এই ফল ঘুমের 'বন্ধু' নাকি 'শত্রু'?Image Credit: Getty Images
| Updated on: Nov 15, 2025 | 4:14 PM
Share

রাতে ঘুমনোর আগে টিভির রিমোট হাতে কিংবা মোবাইল স্ক্রল করছেন, আর আচমকা খিদে পেল। এই সময় কী খাওয়া ভাল? অনেকেই তা জানেন না। আর সেখানেই করে বসেন ভুল। রাত বাড়লেই অনেকের পেটে শুরু হয় হালকা চনমনানি। হাতের কাছে যদি থাকে চিপস বা মিষ্টির প্যাকেট তা হলে তখন যেন সেটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয়! কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হিসেবে অনেকেই এই সময় বেছে নেন একটি আপেল (Apple)। প্রশ্ন হল, সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে, ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে এই ফাইবার-সমৃদ্ধ ফলটি খাওয়া কি শরীরের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ? নাকি এর কিছু গোপন ঝুঁকিও আছে? চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আপেল কি হতে পারে আপনার রাতের বন্ধু?

আপেল হল ফাইবারের রাজা। এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার পেটে গিয়ে ফুলে ওঠে। যা আপনাকে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে গভীর রাতে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপেলে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও ফাইবার থাকার কারণে তা রক্তে খুব ধীরে ধীরে মেশে। ফলে রাতে হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না বা কমেও যায় না। যা মিষ্টি বা প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকসের চেয়ে অনেক ভাল। আপেলের ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

কখন আপেল খাওয়া এড়িয়ে চলবেন?

  • পেটে গ্যাস ও ফাঁপা: আপেলে ফাইবার বেশি থাকার কারণে সংবেদনশীল পেটের ক্ষেত্রে এটি গ্যাস বা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। রাতে যখন হজম প্রক্রিয়া ধীর থাকে, তখন এই অস্বস্তি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  • অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি: যদি আপনি খেয়েই শুয়ে পড়েন, তবে আপেল খাওয়ার কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব: আপেলের জলীয় অংশ বেশি। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভাঙার প্রবণতা বাড়তে পারে।

সঠিক সময়টাই আসল কথা

আপেল নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর এবং হালকা স্ন্যাকের কাজ করে। যা রাতের বেলা ক্ষুধা মেটাতে দারুণ কার্যকর। তবে এর আসল রহস্য লুকিয়ে আছে সময়জ্ঞানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেলকে আপনার রাতের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন, কিন্তু সেটি যেন অবশ্যই বিছানায় যাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে খাওয়া হয়। এই সময়টা আপনার শরীরকে হজম প্রক্রিয়া শুরু করার সুযোগ দেবে, গ্যাসের ঝুঁকি কমবে এবং আপনি নিশ্চিন্তে একটি মিষ্টি ও স্বাস্থ্যকর ঘুম উপভোগ করতে পারবেন। সুতরাং, সঠিক সময়ে, পরিমিত পরিমাণে আপেল খান।