Triglycerides: কোলেস্টেরলের থেকে কতটা আলাদা ট্রাইগ্লিসারাইড? রোগের ঝুঁকি এড়াতে ডায়েটে যা কিছু রাখবেন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Nov 10, 2022 | 4:30 PM

Cholesterol: মূলত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং অলস জীবনযাপনের কারণে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়।

Triglycerides: কোলেস্টেরলের থেকে কতটা আলাদা ট্রাইগ্লিসারাইড? রোগের ঝুঁকি এড়াতে ডায়েটে যা কিছু রাখবেন...

Follow Us

কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড—এই দুটো বেড়ে গেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি তৈরি হয় হৃদরোগের। তাই একটু উনিশ-বিশ দেখলেই লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বিপদসীমার উপর দিয়ে জল গড়ালেই সচেতন হওয়া জরুরি। যদিও বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলস্টেরল দুটোই এক। কিন্তু লিপিড প্রোফাইলের মধ্যে অন্তর্গত হলেও এই দুটো শরীরে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই দুটো বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মূলত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং অলস জীবনযাপনের কারণে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। একবার এই ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে এটি রক্তবহনকারী নালীর দেওয়ালে জমা হতে থাকে। এতে রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হয় না। অবস্থার অবনতি ঘটলে রক্ত সঞ্চালন একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতেই হৃদরোগের আশঙ্কা তৈরি হয়। হৃদরোগ ছাড়াও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে কিডনি ও পাকস্থলীও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলেই ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া অ্যালকোহল, কফির মতো পানীয়ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে দেয়। তাই খাওয়া-দাওয়ার দিকে আপনাকে নজর দিতে হবে। মদ্যপান কমাতে হবে। পাশাপাশি মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ কমান। ভাত, আলুর মতো অতিরিক্ত সুক্রোজ জাতীয় খাবারও সীমিত পরিমাণে খান।

ডায়েটে আপনি তাজা ফল, গ্রিন টি, সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি রাখতে পারেন। এগুলো ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। দানাশস্য খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ওটস, ব্রাউন রাইসের মতো খাবারগুলো বেশি করে খান। শাকসবজি খান বেশি করে। তেল, ঘি, চর্বিযুক্ত খাবারও বেশি চলবে না। তেল হিসেবে খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

ডায়েটের বাইরেও বেশ কিছু টিপস আপনাকে মানতে হবে। ওজন বাড়লে ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা বাড়তে পারে। স্থূলতা ট্রাইগ্লিসারাইডের উপসর্গ। তাই ওজন বাড়লেই সাবধান। এই অবস্থাকে প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে শারীরিক পরিশ্রম করা জরুরি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article