পুজোতে বেড়ানোর প্ল্যান করেছেন? ইমিউনিটি বৃদ্ধির কৌশল জানুন এখানে…

বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশনে সময় কাটানো সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভ্রমণের আগে ও সময় কয়েকটি স্বাস্থ্যকর নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। যেমন পিঠের ব্যাথা, মাথাব্যথা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।

পুজোতে বেড়ানোর প্ল্যান করেছেন? ইমিউনিটি বৃদ্ধির কৌশল জানুন এখানে...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 9:22 AM

করোনাভাইরাস অতিমারি মানুষের জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সব পদ্ধতিগুলিই পাল্টে গিয়েছে। শুধু বাড়ির বাইরেই নয়, বাড়ির ভিতরেরও কাজকর্মেও এসেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোতে থাকায় করোনার আতঙ্ককে সঙ্গী করেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করার সাহস পাচ্ছেন অনেকে। তবে এতে কোনও বীরত্ব নেই। বরং নিজের শরীরের প্রতি যত্ন ও খেয়াল রেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ , করোনাভাইরাসের দাপট এখনও শেষ হয়নি। বরং বর্তমানে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিত্‍সকরা।

ভ্রমণে যাওয়ার আগে, আপনি কতটা স্ট্রং, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বেড়েছে এই কদিনে, তা আগে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। নিরাপদ ও সুস্থ থাকতে করোনাভাইরাসের বিপদ থেকে শতহস্ত দূরে থাকাই ভাল। ভ্রমণের সময় যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, তার জন্য করোনাকে দূরে রাখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা একঝলকে দেখে নিন…

স্বাস্থ্যকর খাবার

ভ্রমণের পরিকল্পনা করলেন বা না করলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে সুষম খাবার গ্রহণ করা একান্ত কাম্য। তবে পূর্ব পরিকল্পিত হলে প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে কাজ বা ব্যক্তিগত কারণে অন্য রাজ্যে অপ্রত্যাশিত ভ্রমণ করলে সেখানে নিজেকে তৈরি করতে অসুবিধা হতে পারে। তবে ভ্রমণের প্ল্যান করলে প্যাকেটজাত খাবার, স্টাফ বা ফাস্ট ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিনের ডায়েটে অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে দিন। শরীরকে সুস্থ রাখতে যতটা পারেন পুষ্টিকর খাবার খান। তাতে ইমিউনিটি সিস্টেম স্বাভাবিক থাকবে। দৈনিক ভিত্তিতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারেন। তবে ভ্রমণের সময় বাইরের খাবার নয়, বরং বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার প্যাক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রোটিন বার, ফল, শুকনো ফল ইত্যাদি কাছে রাখুন।

হাইড্রেট রাখুন

পেটের সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে এমন ফল ও সবজি খান প্রতিদিন। যেমন শসা, তরমুজ, কমলালেবু ইত্যাদি ফল খান। ভ্রমণের সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ভুলবেন না যেন। অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন

শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের অভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভ্রমণের সময় যাতে স্বাস্থ্যকর, সক্রিয় ও নিরাপদ হয়, তারজন্য ভ্রমণের কয়েকদিন আগে ভাল ঘুমের চেষ্টা করুন। তার জন্য রাতে শোওয়ার আগে স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। ভাল ঘুমের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন। দৌড়, জিমে যাওয়া, সাঁতার কাটা, নাচ ও অন্য ধরনের শারীরিক অনুশীলন করতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মাল্টিভিটামিনের সঙ্গে বেরিজস কলা, কিউই, লেবুর মতো সুপারফুড ডায়েটে যোগ করতে পারেন।

সাবধনতা অবলম্বন করুন

পাবলিক ট্যাপ থেকে হাত ধুলে অবশ্যই স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না যেন। হোটেল বা লিফটের রেলিং, দরজার হাতল এগুলির স্পর্শ এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে একেবারেই ভুলবেন না। স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরই চোখে-মুখে স্পর্শ করুন। ভ্রমণের সময় টেবিল, চেয়ার বা অন্য সব জিনিসপত্রকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য সঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রসঙ্গত ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ় সম্পূর্ণ হলে তবেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। যাঁরা কোভিড ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ়ই নিয়েছেন, তাঁরাও কোভিড প্রোটোকল মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: Ayurveda For Uric Acid: বেশি মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড? নিয়ন্ত্রণে রাখুন আয়ুর্বেদিক সহজ উপায়ে