TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Oct 24, 2022 | 7:21 AM
কালীপুজোর ভোগ অনেক জায়গাতেই আমিষ হয়। অর্থাৎ ভোগে থালায় মাছ কিংবা পাঁঠার মাংস সাজিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। পুজোর সময় অনেক বাড়িতেই পাঁঠার মাংস রান্না হয়। আর প্রসাদ হিসেবে এই মাংস অনেকেই খান।
মূলত গভীর রাতে হয় কালীপুজো। সারাদিনের উপবাসের পর রাতে অঞ্জলি দিয়ে তবেই উপবাস ভঙ্গ হয়। আর উপবাসের শেষে মিষ্টি, লুচি বা অন্য যে কোনও গুরুপাক খাবার খেলেই অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে খিদেটাও চলে যায়। আর এখন ঘরে ঘরে সুগার, হাই ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরলের রোগী। তাই খাবার যদি বুঝেশুনে খাওয়া না হয় সেখান থেকে হতে পারে বিপত্তি। পুজোর সময় সব মানুষেরই একাধিক কাজ থাকে। তখন আর খাবারের কথা মাথায় থাকে না কারোরই।
উপবাস ভঙ্গ করে প্রথমে জল খান। তারপর একেবারেই হালকা খাবার খান। রাতের বেলা প্রসাদী পাঠার মাংস খেলেও হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। লুচি বা খিচুড়ি খেলেও তা পরিমাণে অল্প খেতে হবে। উপবাস ভঙ্গ করতে মিষ্টি তো একেবারেই নয়।
কালীপুজোর পরদিনই ভাইফোঁটা। এদিনও বাড়িতে বাড়িতে বিশাল আয়োজনের ব্যবস্থা থাকে। মাছ, মাটন, পোলাও, বিরিয়ানি একাধিক রান্না হয়। তবে এদিনও সবার রেড মিট খাওয়া ঠিক নয়। ব্শেষত যাঁরা সুগার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, উচ্চ রক্তচাপের মত একাধিক সমস্যায় ভুগছেন।
রেডমিটের মধ্যে প্রোটিন আছে, ভিটামিন আছে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্যাটুরেটেড ফ্যাট আর ট্রান্স ফ্যাট। এসবের কারণে শরীরে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে রেডমিট ঠিকভাবে হজম হয় না বলে গ্যাসও হয়ে যায়।
তাই হার্টের সমস্যা থাকলে রেডমিট একেবারেই খাবেন না। কোলেস্টেরলের মত সমস্যা থাকলেও রেড মিট এড়িয়ে চলবেন। এতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস থাকলেও রেডমিট একেবারে নয়। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। শরীরে ফ্য়াট বা অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খেলে তা পুরোটাই রয়ে যায়। এই সব ট্রান্স ফ্যাট ধমনীর দেওয়ালে জমে বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।