প্রতিবছর কালীপুজোর ঠিক আগেই বাতাসে একটা ঠাণ্ডা ভাব থাকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তার উপর যোগ হয়েছে নিম্নচাপ। বাংলা-বাংলাদেশ সীমান্তের দিকেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেই সবথেকে বেশি ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য, ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে চট করে ঠাণ্ডা লেগে যায়। ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। আর তাই এই সময় নিয়ম করে গরম জল, মধু, আদা এই সব খেতে বলা হয়। সেই সঙ্গে আয়ুর্বেদে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
রোজ রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোর ভোর ওঠা। এই অভ্যাস করতে পারলে সহজেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। নিয়ম করে ১০ মিনিট প্রাণায়ম করুন। বা অন্য কোনও যোগাসনও করতে পারেন।
সর্দি,কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সরষের তেল আর তিলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে সামান্য গরম করে মালিশ করুন। এতে কফ, কাশির সমস্যা দূর হয়ে যায়। বুকে কফও জমে থাকে না।
বারে বারে গরম জল, চা, আদা-গোলমরিচ দেওয়া চা, স্যুপ এই জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। গুরুপাক কিছু না খাওয়াই ভাল। ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল একেবারেই নয়। সব সময় ইষদুষ্ণ জল খান।