বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল। গত ২ বছর কোভিডের কারণে মানুষ গৃহবন্দি ছিলেন। কোনও রকম উৎসবে অংশ নেননি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের পর থেকে কোভিড পরিস্থিতি একটু আয়ত্তে আসার পর এবং টিকাকরণ হওয়ার পর কমেছে কোভিডের প্রকোপ। অনেক জায়গাতেই মাস্কের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও উঠেছে। প্রচুর মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। এখনও অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে প্রকোপ তেমন মারাত্মক নয়। যে কারণে কমেছে কোভিডে মৃত্যুহার। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এমনও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ডেঙ্গি আর কোভিডের জোড়া ফলায় সংক্রমিত।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। বর্তমানে আমেরিকার ZOE কোভিড গবেষণা থেকে উঠে এসেছে নতুন একটি তথ্য। ওমিক্রনের পর থেকে কমেছে কোভিড ভাইরাসের তীব্রতা। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যাঁদের শরীরে আলাদা কোনও সমস্যা রয়েছে, বিভিন্ন কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরও সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বারবার তাই টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছেন। এখন অনেকেই অজান্তে কোভিডে আক্রান্ত হন। কিন্তু তাঁরা তা নিজেরাই জানেন না। এখন যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে এই সব উপসর্গ থেকেই যাচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণাতে এরকমই ৫ উপসর্গের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা।
গলা ব্যথা, গলা চুলকোনো এই সব উপসর্গ প্রথম থেকেই কোভিডে ছিল। এখন যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে গলা চুলকোনোর সমস্যা সবচাইতে বেশি। যাঁরা কোভিডের তিনটি টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যেও এই গলায় ব্যথা, গলা চুলকানি, জ্বালা ভাব, খেতে গিয়ে সমস্যা, মনে হচ্ছে গলায় কাঁটার মত কিছু বিঁধে রয়েছে এমন অনুভূতি আছেই। এর আগে কোভিডের মুখ্য উপসর্গ ছিল শ্বাসকষ্ট। টিকা নেওয়ার পর শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। তবে নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা অত্যন্ত বেশি। সেই সঙ্গে নাকও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নাকে ড্রপ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শ্বাস নিতে সমস্যা হলেই সেখান থেকে শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা থেকে যায়।
যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে শুকনো কাশিও বহুদিন পর্যন্ত থেকে যাচ্ছে। একটানা কাশি শরীরের জন্য খুবই ক্লান্তিকর। সেই সঙ্গে অস্বস্তিরও। রোজকার কাজেও তার প্রভাব পড়ে। আর তাই ঠাণ্ডা লাগলে গরম জল, আদা-গোলমরিচ দেওয়া চা, লবঙ্গ এসবই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক ভাবে ঘরোয়া টোটকাতে কাজ না হলে এবং মাথা ব্য়থা, শরারে অস্বস্তি বাড়তে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। যত দ্রুত ওষুধ শুরু করবেন ততই মঙ্গল।