একাধিক ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর গুড় (Jaggery)। দুধেরও রয়েছে নিজস্ব পুষ্টিগুণ। ফলে দুধের (A glass of Milk) সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে তা স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব (Positive Energy) ফেলে। একাধিক অসুখ দূর হয়। আমরা সকলেই জানি, দুধকে বলা হয় সুষম খাদ্য। তবে দুধকে আরও স্বাস্থ্যকর বানানোর জন্য দুধে অন্যান্য খাদ্যবস্তু মেশানোর রেওয়াজ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে মেলে ডবল পুষ্টি। দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর। রয়েছে একাধিক ভিটামিন। আছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক-এ মতো খনিজ। তাই দুধ ও গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে পড়ে ইতিবাচক প্রভাব। একাধিক ধরনের শারীরিক সমস্যা ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়।
পেটের গোলমাল
ভারতের বহু প্রদেশেই খাদ্যগ্রহণের পর শেষ পাতে একটু গুড় দেওয়া হয়। এমন রেওয়াজের পিছনে রয়েছে গুড়ের গুণাগুণ। পরিপাকতন্ত্রের জন্য গুড় অত্যন্ত ফলদায়ী। গুড়ে থাকা নানা উপাদান পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। তবে দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে মেলে আরও বেশি সুফল। দুধের অ্যান্টাসিডগুণ রয়েছে। ফলে হজমে সহায়ক গুড়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূর হয়।
রক্তাল্পতা
দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে দূর হয় অ্যানিমিয়া। হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে পারে এমন উপাদান থাকে গুড়ে। ফলে প্রতিদিন দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে অ্যানিমিয়ার আশঙ্কা দূর হয়।
ওজন কমাতে
মাত্রাতিরিক্ত দৈহিক ওজন কমাতেও কার্যকরী গুড়। গুড়ে রয়েছে পটাশিয়াম যা শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদকে ঝরাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে গুড়ে থাকা ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিন খিদে কমায় যা ওজন কমাতে ও স্থূলত্ব দূরে রাখতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডস-এর ব্যথায়
মেনস্ট্রুয়েশনের সময়ে অনেকরই পেটে ক্রাম্প, প্রবল ব্যথার সমস্যা হয়। তাই পিরিয়ড চলাকালীন সময় দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
ত্বকের জন্য উপকারী
গ্রীষ্ম ও বর্ষায় ত্বকে র্যাতশ, ব্রণ, চুলকানির সমস্যায় অনেকেই নাজেহাল হয়ে থাকেন। এমতাবস্থায় দুধে গুড় মিশিয়ে খেলে এই ধরনের সমস্যা দূর করা সম্ভব। বিশেষ করে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে গুড়।
অনিদ্রা দূর করতে
দুধে গুড় মিশিয়ে খেলে অনিদ্রার সমস্যাও দূরে থাকে। গুড়ে থাকা উপাদান আমাদের রক্ত শুদ্ধ রাখার সঙ্গে শরীরে উদ্যমও ধরে রাখে। গুড় আমাদের উৎকণ্ঠাহীন থাকতেও করে। ফলে দ্রুত ঘুম আসে। গভীর ঘুম হয়। তাই প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ দুধে একচামচ গুড় মিশিয়ে খান।
চুল ঘন করে
গুড়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন। এছাড়া ক্যালশিয়াম, বায়োটিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানও রয়েছে গুড়ে। এই উপাদানগুলি চুল ঘন ও গোড়া থেকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে চুল ঝরাও বন্ধ হয়।