
হাই কোলেস্টেরল শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। কোলেস্টেরল শিরায় জমতে থাকলে শিরাকে ব্লক করে দেয়, সেই সঙ্গে হৃদরোগ, স্নায়ুর সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আজকাল আমাদের লাইফস্টাইল এমনই হয়েছে যে এই সব রকম সমস্যা বাড়ছে। আর তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা সবার জন্য খুব জরুরি

কোলেস্টেরল রুখতে রোজকার জীবনে যেমন পরিবর্তন আনতে হবে তেমনই নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবার ভাজাভুজি এসব একেবারেই চলবে না। সঙ্গে নিয়মিত ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা করতে হবে। ক্যালোরি মেপে খাবারও কিন্তু জরুরি

মটরশুঁটি, মুসুরের ডাল, ছোলার ডাল, মটর ডাল, ছোলা, বাদাম এসবের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার, উদ্ভিজ প্রোটিন থাকে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকতে হলে এসব বেশি করে খেতে হবে। মাছ, মাংস যত কম খাবেন ততই ভাল

বাদামও শরীরের জন্য ভাল। তবে ভাল বলেই যে প্রচুর পরিমাণ খেতে হবে এমনটা নয়। সব সময় চেষ্টা করুন মেপে খাবার খাওয়ার। বাদামের মধ্যে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। ফলে বাদাম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। দিনে আমন্ড খেলে ৫-৬ টির বেশি নয়

আপেল রোজ খেলে অনেক রকম রোগ সমস্যা থেকে দূরে থাকে। আপেলের মধ্যে থাকে পলিফেনল যৌগ। যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজ একটা করে আপেল খেলে অনেক রকম রোগ সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন

রসুনের মধ্যে থাকে অ্যালিসান নামের একটি যৌগ যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। সকালে এককোয়া রসুন, মধু ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে আর ফ্যাটও কমে। গরম ভাতে রসুনের ভর্তাও অনেক উপকারী

ওটস, বার্লি, ডালিয়া, কর্নফ্লেক্স এসব শরীরের জন্য যে কত উপকারী সকলেই জানেন। চিকিৎসক, পুষ্টিবিদরা সব সময় তা খেতে বলেন। তবে ফ্লেভারড বা মশলা দেওয়া ওটস, কর্নফ্লেক্স একেবারেই খাবেন না। এর মধ্যে কোনও রকম পুষ্টিগুণ নেই

সব রকম সবুজ শাক-পাতা বেশি করে খান। সবুজ পাতার মধ্যে লুটেইন এবং অন্যান্য ক্যারটিনয়েড থাকে। যা শরীর ভাল রাখে, হার্টের সমস্যা থেকে দূরে রাখে। ডালের মধ্যে শাক দিয়ে খেতে পারেন, রোজ গরম ভাতে প্রথমেই খান যে কোনও একটা শাক। ছোট থেকেই সন্তানকে শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করুন