পুজোর আগে শরীরের বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতেই হবে। না হলে যে ভাল ছবি আসবে না। তা ছাড়া মধ্যপ্রদেশ বেশি থাকলে দেখতেও খারাপ লাগে। তাই ভরসা রেখেছেন শসার উপরে। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি, আবার এই ফলে আছে ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আবার শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। শরীরে নানা রকম খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও বেশ কার্যকরী এই ফলটি।
কিন্তু কেবল উপকার নয়। তবে যতই উপকারী হোক, ভুল সময়ে খেলে কিন্তু এই ফলের অপকার বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা রাতের বেলা বেশি শসা খেতে সাধারণত বারণই করেন।
অনেকে মনে করেন রাতের বেলা শসা খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে। তবে এই ধারণা কিন্তু ভিত্তিহীন। তাছাড়া রাতের বেলা যে একেবারে শসা খাওয়া যায় না এমনও নয়। পরিমিত পরিমাণে খেলে তাতে ক্ষতি হয় না।
তাহলে কেন রাতে শসা খেতে বারণ করা হয়?
রাতে শসা খেতে বারণ করার কারণ হল শসার মধ্যে থাকা ফাইবার। বিকেল-সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের শারীরিক সক্রিয়তা কমে আসে। ফলে শসার মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার আছে তা সহজে পরিপাক হয় না। ফলে রাতে বাটিভর্তি শসা খেলে পেটফাঁপা বা পেটভার হয়ে থাকতে পারে। ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
তাই পেটে বেশি সমস্যা থাকলে কটা দিন শসা না খাওয়াই ভাল। আর নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস হলে, দুপুরে বা বিকেলের মধ্যে তা খেয়ে নেওয়াই ভাল বলে মত পুষ্টিবিদদের।