Digestive Biscuit: শরীর বাঁচাতে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খাচ্ছেন? আদৌ ঠিক করছেন কি না জানুন
Health Tips: বিশেষজ্ঞদের মতে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খাওয়া যেতে পারে তবে পরিমাণটা যেন কোনও ভাবেই বেশি না হয়। কারণ এতে স্বাদ-বর্ধক রাসায়নিক থাকে যা এই বিস্কুটের প্রতি আসক্তি তৈরি করতে পারে।
চায়ের (Tea) নেশা কমবেশি সকলের। আর চায়ের সঙ্গে টা তো চাই-ই চাই। তাই ভরসা বিস্কুট। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না হলে চলে না। আজকাল বাজারে রকমারি বিস্কুট পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা বর্তমানে ডাইজেস্টিভ বিস্কুটের (Digestive Biscuit) উপরই ভরসা রাখেন। এই বিস্কুটে চিনির পরিমাণ কম থাকে বলে একে স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করেন অনেকে। কিন্তু এই ধারণা কি আদৌ ঠিক? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
ডাইজেস্টিভ বিস্কুট আসলে কী? এটি এক ধরনের বিশেষ বিস্কুট যা গোটা গমের আটা, অ্যামোনিয়াম ও সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, ম্যালিক অ্যাসিড, মিল্ক পাউডার, টারটারিক অ্য়াসিড দিয়ে তৈরি।
ডাইজেস্টিভ বিস্কুটের পুষ্টিগুণ: ২ টি ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে ২০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৫০ ক্যালোরি, ৪.৬ গ্রাম ফ্যাট, ৫ গ্রাম চিনি, ১ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন ও ১৬০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম রয়েছে। তবে এটা বিস্কুটের ব্র্যান্ডের উপরও কিছুটা নির্ভর করে। ব্র্যান্ড অনুযায়ী পুষ্টিগুণ পরিবর্তনও হতে পারে।
ডাইজেস্টিভ বিস্কুট কি খাওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খাওয়া যেতে পারে তবে পরিমাণটা যেন কোনও ভাবেই বেশি না হয়। কারণ এতে স্বাদ-বর্ধক রাসায়নিক থাকে যা এই বিস্কুটের প্রতি আসক্তি তৈরি করতে পারে। তাই বেশি খাবেন না। এছাড়াও এতে ক্য়ালোরির পরিমাণ বেশি ও সোডিয়াম রয়েছে যার অতিরিক্ত প্রভাব ক্ষতিকার হতে পারে।
কীভাবে সঠিক ডাইজেস্টিভ বিস্কুট নির্বাচন করবেন? ১. পুষ্টির পরিমাণ দেখে নিন ২. সবার আগে সোডিয়ামের পরিমাণের দিকে নজর দিন
ডাইজেস্টিভ বিস্কুটের বিকল্প কী হতে পারে? ১. রাগির বিস্কুট ২. ড্রাইফ্রুট ৩ মাখানা ৪. ছোলা
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।