International Women’s Day 2023: কেন মেয়েদেরই হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি? সুস্থ থাকতে যে সব নিয়ম মেনে চলবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Mar 09, 2023 | 12:58 AM

Multivitamin and Supplements for Women: মেনোপজের পর মেয়েদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি বাড়ে। আর এর জন্য দায়ী হল ইস্ট্রোজেন হরমোন

International Womens Day 2023: কেন মেয়েদেরই হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি? সুস্থ থাকতে যে সব নিয়ম মেনে চলবেন
কীভাবে হার্টের যত্ন নেবেন

Follow Us

সম্প্রতি হৃদরোগের শিকার হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী, অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। সেকথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। দ্রুত এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে এবং দুটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে সুস্মিতা বলেছেন, হার্ট অ্যার্টাক হলে ভয় পাবেন না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তা হতে পারে। তবে দ্রুততার সঙ্গে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা জরুরি। তার চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছিলেন বলে তিনি আজ সুরক্ষিত আছেন। আর তাই ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। ২০১৮ সালে এথেরোস্ক্লেরোসিস রিস্ক ইন কমিউনিটি সার্ভিলেন্স স্টাডি প্রায় ২৮ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা করে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে ৩৫-৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। আর এর মধ্যে অধিকাংশই হলেন মহিলা।

মেনোপজের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়। যে কারণে করোনারি আর্টারি ডিজিজের সম্ভাবনা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য হয়। সেখান থেকেও মহিলাদের শরীরের উপরস চাপ পড়ে। পরবর্তীতে সেখান থেকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঘটনা অনেক বেশি। গত কয়েক বছরের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত তামাক ব্যবহার হার্টের রোগের অন্যতম কারণ। আর তাই একটু বেশি পরিশ্রম হলেই যদি শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হয় তাহলে প্রথম থেকেই সতর্ক হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নিয়মিত ভাবে রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও করতে হবে।

সেই সঙ্গে রোজ ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, হাঁটা, ব্যায়ামেরও অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সুস্মিতা সেদিন তাঁর ইনস্টাগ্রাম লাইভে বলেছিলেন, রোজ জিম তাঁর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও তিনি নিয়ম করে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমোন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান- যা তাঁকে এত বড় হৃদরোগ থেকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। রোজকার ডায়েটের মধ্যে স্যালাড, শাকসবজি, শুকনো ফল এসব অবশ্যই রাখতে হবে। পাশাপাশি ধূমপান, মদ্যপান এবং জাঙ্ক ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। ফাইবার, প্রোটিন বেশি করে খেতে হবে। যত ভাবে সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে। প্রয়োজনে নিয়মিত ভাবে যোগা অভ্যাস করতে হবে। এই সব নিয়ম মানতে পারলেই সুস্থ থাকবেন।