প্রতিদিন এক গ্লাস রেড ওয়াইন খেতে পারলে তা কিন্তু শরীরের অনেক উপকারে লাগে, শরীর থাকে সুস্থ- বছেরর পর বছর ধরে এমনই কিছু প্রবাদ চলে আসছে। শুধু তাই নয়, পরিমিত মদ্যপান শরীরের পক্ষে ভাল এমন ধারণাও কিন্তু রয়েছে অনেকের মধ্যে। অনেকে আবার মনে করেন রেড ওয়াইনের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য একপ্রকার ভালই। তবে সম্প্রতি গবেষণা কিন্তু এই সব প্রবাদ বাক্যকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেখানেই দেখা যায় অনেকেই বলেছেন মদ্যপান একেবারে না করার থেকে মাঝে মধ্যে একটু করা ভাল। খুব কম লোকেই বলেছেন মদ্যপান খারাপ।
সম্প্রতি ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা বহু বছর ধরে মদ্যপান করছেন তাঁরা শারীরিক অসুস্থা জনিত কারণেই হঠাৎ করে মদ্যপান বন্ধ করে দিয়েছেন। আর সেই সংখ্যাটা কিন্তু ৩,৩৩, ২৫৯। এরপর থেকেই লন্ডনে অ্যালকোহলের একটি সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি মদ্যপান করতে পারবেন না কেউই। কিন্তু দেখা গিয়েছে এই সীমার মধ্যে থাকার পরও কিন্তু থেকে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনা। এমনকী যাঁরা ওয়াইন খান তাঁদের মধ্যেও কিছুটা হলে থেকে যায় এই হৃদরোগের সম্ভাবনা। তবে সব বিশেষজ্ঞরাই কিন্তু বলছেন, মাঝারি মাপের অ্যালকোহল খাওয়া আর ধূমপানের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। এই দুটি ক্ষেত্রেই কিন্তু ফলাফল একই। অর্থাৎ ক্ষতি ছাড়া লাভের কোনও সম্ভাবনা নেই। আবার যাঁরা সপ্তাহে এই ১৪ ইউনিটের কম বিয়ার খান তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু থেকে যাচ্ছে একই রকম স্বাস্থ্য অসুবিধে। ফলে অ্যালকোহল মাত্রই যে তা শরীরের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক তা কিন্তু প্রমাণিত।
২০১৮ সালে দ্য ল্যানসেটের পূর্ববর্তী একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছিল যে অ্যালকোহল কম মাত্এরায় খেলে তা শরীরের জন্ইয ভাল। এবং সেই সঙ্গে একেবারে পরিমিত মাত্রায় মদ্যপানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সমীক্ষা বলছে, মদ্যপান শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নায়। মাঝে মধ্যে শখের মদ্যপানও বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Lung Cancer: ধূমপানের প্যাক বছর আদতে কী? এটি কি ফুসফুস ক্যানসারের পূর্বাভাস দিতে পারে, জানুন…