এটা এখন ভালভাবে বোঝা যাচ্ছে যে সুস্থ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য, সঠিক ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সর্বোত্তম পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য তালিকায় ঠিক কী কী খাবার অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে এখনও কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে। যদিও বিশেষজ্ঞরা অনেক খাবারের পরামর্শ দেন, তবে আপনি অবশ্যই যে খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন তা হল মটর।
মটরশুটি প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এই মটর কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে না বরং এটা দস্তা, পটাসিয়াম, ভিটামিন এবং ফাইবার সহ ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে এর একটি ভাল উৎস।
অভিনেতা এবং ফিটনেস উৎসাহী ভাগ্যশ্রী ইনস্টাগ্রামে তাঁর ‘টুইসডে টিপ’ সিরিজের অংশ হিসাবে বলেন, “মটর পুষ্টির সেই রত্ন যা প্রায়শই বেশিরভাগ ভারতীয়ের খাবারের তালিকায় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে মটরের চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।”
মটর কেন আপনার জন্য ভাল:
মটর ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে জ্বালিয়ে হজমে বিশেষ সাহায্য করে। যেহেতু বেশিরভাগ ফাইবার দ্রবণীয়, তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ফাইবার বিপাকীয় স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে বিবেচিত হয়। কারণ এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার মতো অবস্থার ঝুঁকি কমাতে পারে।
মটর রক্তে শর্করার স্পাইকগুলিকে কমাতে সাহায্য করে। যা স্মৃতিশক্তি এবং শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। এগুলি নিম্ন গ্লাইসেমিক সূচক খাদ্য হিসাবে পরিচিত। তাই মটর খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ার বিশেষ কোন সম্ভাবনা থাকে না।
মটর, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অপরিহার্য খনিজগুলির উৎস যা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল।
১) পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহে ঠাসা:
সবুজ মটরের প্রতিটি কামড়ে পুষ্টি থাকে! সর্বোপরি, এটি প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ এবং কার্বস দিয়ে ভরা। আপনার খাবারের তালিকায় কোনো একটি খাবার যদি প্রোটিন সমৃদ্ধ হয় তবে তাকে সবসময় এগিয়ে রাখা উচিত। এছাড়া মটর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ, যা একাধিক উপায়ে স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করে!
২) আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:
মটরে তুলনামূলকভাবে কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, যার অর্থ তারা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না। এছাড়াও, এগুলি ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এমনকি টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও মটর রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম।
৩) কিছু দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে:
সবুজ মটরশুটি ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সহ খনিজগুলির একটি পরিমাণ বহন করে। সেই কারণে আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের উপর মটর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রকৃতপক্ষে, সবুজ মটর মধ্যে উচ্চ ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এগুলিতে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঘটনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: অনিদ্রা কাটাতে প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন? রাতে ভাল ঘুমের জন্য এই টিপস মানলে উপকার মিলবে দ্রুত