Coronavirus: ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ প্রাপ্ত এবং একটি ডোজ প্রাপ্তদের মধ্যে কিন্তু ওমিক্রনের উপসর্গ আলাদা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 05, 2022 | 1:02 AM

ভ্যাকসিন কোভিড মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে। আর তাই টিকাকরণ কিন্তু আবশ্যিক। সেই সঙ্গে মেনে চলুন যাবতীয় কোভিড বিধি।

Coronavirus: ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ প্রাপ্ত এবং একটি ডোজ প্রাপ্তদের মধ্যে কিন্তু ওমিক্রনের উপসর্গ আলাদা!
প্রতীকী ছবি

Follow Us

গত এক মাস ধরে বিশ্বজুড়েই সুনামির আকারে আছড়ে পড়েছে ওমিক্রন ( Omicron)। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে ওমিক্রনের রোগ লক্ষণ ( Omicron symptoms) তুলনায় অনেক হালকা। সাধারণ সর্দি, জ্বরের মতই উপসর্গ। আর এর জন্য কিন্তু টিকাকরণকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকাকরণের জন্যই কমেছে রোগ-ঝুঁকি। এমনকী যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা স কলেই কিন্তু বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের অনেকেই কিন্তু জটিল শারীরিক সমস্যার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি একটি গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। যে কারণে বার বার ভ্যাকসিন ( Covid vaccine) নেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রনের সংক্রমণ এখন পর্যন্ত হালকা। কাজেই এক্ষেত্রে গাফিলতি না করাই শ্রেয়।

কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট কেন আগের তুলনায় হালকা সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত গবেষণা চলছে। অনেকেরই মত, যেহেতু এর আগের দুটো ঢেউয়ে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকেই কোভিডের টিকা নিয়েছেন তাই শরীরে গড়ে উঠেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে এবং হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি যে অনেকটাই কমেছ তা কিন্তু প্রমাণিত।

নভেম্বরের একদম শেষের দিকে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ  মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বজুড়ে ১০০টিরও বেশি দেশে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। ওমিক্রনের উপসর্গ বা রোগ লক্ষণ কিন্তু জটিল কিছু নয়। এখনও পর্যন্ত যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মাথা ব্যথা, হালকা জ্বর, পেশির ব্যথা, ডায়ারিয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাঁচি, সর্দি আর রাতের দিকে ঘাম দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ ছিল না। শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা এমনটাও খুব একটা শেনা যায়নি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁদেরই চিকিৎসা করাতে হয়েছে যাদের কোভিড টিকার একটাও ডোজ নেওয়া নেই। এমনকী তাঁদের বেশিরভাগের শরীরেই কমে গিয়েছিল অক্সিজেনের মাত্রাও। ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েও বেশ কিছু জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে কিছুজনের আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা ছিল। আবার অনেকের ক্ষেত্রে কোনও গুরুতর অস্থাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এবং তারপর সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও যাঁদের টিকা নেওয়া ছিল তাঁদের কারোরই কিন্তু স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে যাওয়ার মত তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। যা করোনার আগের দুটো ঢেউতে প্রকট ছিল। এবার যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের অনেকেরই স্বাদে সমস্যা হয়েছিল কিন্তু স্বাদ-গন্ধ পুরোপুরি চলে গিয়েছিল এমন নয়। এখনও ভারতে ডেল্টার প্রকোপও রয়েছে ১৫ শতাংশ। তাই কোভিডে আক্রান্ত হলে যতক্ষণ না পরীক্ষা করানো হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বলা যাবে না আদৌ কিসে আক্রান্ত। এসব বিবেচনা করেই কিন্তু চিকিৎসকেরা জোর দিচ্ছেন টিকাকরণের উপরে। কোভিডের টিকা মৃত্যুঝুঁকি কমায়। তবে টিকা নিলেও সব সময় মাস্ক পরুন, নিয়ম মেনে হাত ধুতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কিন্তু খুবই জরুরি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article