Diet: নতুন বছরে এই পাঁচ ডায়েট কিন্তু ভুলেও নয়, পড়তে পারেন বিপদে!
ইন্টারনেটে অনেক রকম ডায়েট চার্ট পাওয়া যায়। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মোটেই সেই সব ডায়েট শুরু করবেন না। এতে কিন্তু চাপ পড়ে শরীরের উপরেই। ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে

ক্যালেন্ডারের পাতায় আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি! নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শহর জুড়েই চলছে প্রস্তুতি। নতুন বছরের জন্য প্রতি বছরই সকলে কিছু না কিছু শপথ নেন। আর তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে ফিটনেস সংক্রান্ত। প্রতি বছর ডিসেম্বর আসলেই সকলে ভাবেন নতুন বছরে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে রোগা হতেই হবে। যে কারণেই জানুয়ারি মাস পড়লেই জিমে জিমে ভিড় লেগে থাকে। তবে সকলেই ভাবেন, মাত্র ৭ দিনের পরিশ্রমেই ঝরে যাবে অতিরিক্ত ওজন। কিন্তু এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফুরিয়ে আসে সব এনার্জি। সাতদিন ধরে বিরিয়ানির লোভ সংবরণ করে রাখা ব্যক্তিটিও আটদিনের থেকে গোগ্রাসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করেন। এতে শরীর আরও বেশি খারাপ হয়। সেই সঙ্গে রোজকার পরিচিত রুটিনে ছেদ পড়ায় শরীরও তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়। আজকাল ইন্টারনেটেই নানা রকম ডায়েট চার্ট পাওয়া যায়। যে কারণে অনেকেই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়েই নিজের মত করে কোনও একটি ডায়েট মেনে চলা শুরু করেন। যা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। আর তাই নতুন বছরে দূরে থাকুন এই সব ডায়েট থেকে।
যে সব ডায়েটে শরীরে বেশি অ্যাসিড তৈরি হয়
অনেকেই এমন কিছু ডায়েট মেনে চলেন যা থেকে শরীরে বেশি পরিমাণ অ্যাসিড তৈরি হয়। অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস খেলেও কিন্তু হতে পারে এই সমস্যা। আর তাই ডায়েটে অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস, মাছ, ডিম রাখবেন না। বরং ফল, সবজি বেশি করে খান। এমনকী দুগ্ধজাত দ্রব্যও যতটা সম্ভব কম খান।
ভাল ফ্যাট খান, কিন্তু তার পরিমাণ যেন বেশি না হয়
মহিলাদের সব সময় বলা হয় ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একদম কমিয়ে প্রোটিন, দানা শস্য এবং ভাল ফ্যাট খাওয়ার জন্য। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়ার জন্য। এতে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়া শরীরের জন্য ভাল , ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু এই ডায়েট মানলেই যে প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে তার কিন্তু কোনও প্রমাণ নেই।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিন্তু এই ডায়েট মেনে চলা খুব জরুরি। বিশ্ব জুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। যে কারণে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কিন্তু কম খাওয়ার কথা বলা হয়। কম চিনি যুক্ত খাবার খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই সঙ্গে এই ডায়েট স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল। তবে যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি নয়, তাদের কিন্তু এই ডায়েট না মেনে চলাই ভাল। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ডায়েট নয়।
লিক্যুইড ডায়েট নয়
এক সপ্তাহ না খেলেই রোগা হওয়া যায় না। কম খেলে কিংবা পুরোপুরি লিক্যুইড ডায়েট করলেও কিন্তু রোগা হওয়া যায় না। এর জন্য মেনে চলতে হয় সঠিক নিয়ম। শরীরের উপর অযথা চাপ দেবেন না। মাছ, মাংস সবই যথাযথ পরিমাণে খান। সময়ে খাবার খান। শরীরচর্চা করুন। এতেই থাকবেন সুস্থ।
