সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মত সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। শীতের সময় এমনিই যে কোনও ভাইরাস (Virus), ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ বাড়ে। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবছর সমস্যা আরও খানিকটা বেড়েছে। এছাড়াও ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণ। যে কারণে বয়স্ক থেকে বাচ্চা সকলেই কিন্তু শীতে জ্বর-সর্দি-কাশির ( Cough) সমস্যায় ভোগেন। এত কিছুর সঙ্গে এবছর আবার যুক্ত হয়েছে ওমিক্রন (Omicron)। কোভিডের আগের দুই ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ছড়াচ্ছে দ্রুত। একদিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। ছোট থেকে বড় সকলকেই কিন্তু কাবু করছে ওমিক্রন।
এছাড়াও ওমিক্রনের উপসর্গ আর সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গের মধ্যে তেমন ফারাক না থাকায় অনেকেই কিন্তু বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। জ্বর-কাশি-লাব্যথা থাকলেও বেমালুম টেস্ট না করিয়েই সকলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এসব কারণেই কিন্তু বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকেই মেনে চলছেন না কোভিড বিধিও। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন এখনও পর্যন্ত সকলেই কিন্তু হোম আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই তিন দিনের বেশি জ্বর থাকেনি। থাকেনি অন্য কোনও সমস্যাও।
কিন্তু এবার বেশিরভাগেরই গলা ব্যথার মত সমস্যা থাকছে। গলা ব্যথাা বা টনসিলের সমস্যার সব সময় নুন জলে গার্গল করার কথা বলা হয়। ভেপার নেবার কথা বলা হয়। এতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় অনেকটাই। সেই সঙ্গে মেনে চলতে পারেন এই কয়েকটি আর্য়ুবেদিক টোটকা। এতেও কিন্তু দ্রুত ফল পাবেন। দেখে নিন-
স্টিম নিন- আয়ুষের ( AYUSH) তরফ থেকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে নিয়ম করে স্টিম নিতেই হবে। আর স্টিম নেওয়ার সময় জলে তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা অথবা এক চামচ জোয়ান ফেলে ভাপ নিতে পারেন। এতে গলা আরাম পাবে। গলা চুলকোনো, কাশি এসবও কিন্তু চলে যাবে।
মধু- লবঙ্গ- লবঙ্গ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে পারেন অথবা লবঙ্গের গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনের মধ্যে তিনবার খান। এতেও কিন্তু দ্রুত উপকার পাবেন। গলার ব্যথা কমবে।
গোলমরিচ- যে কোনও ব্যথা, প্রদাহ কমাতে কিন্তু গোলমরিচের জুড়ি মেলা ভার। তাই আদা, গোলমরিচ, কাঁচা হলুদ থেঁতো করে নিয়ে চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। এতে যেমন সংক্রমণ কমবে তেমনই কিন্তু গলাও আরাম পাবে। দিনের মধ্যে তিনবার এই চা খেতেই পারেন।
গার্গল করুন- আর্য়ুবেদিক বিশেষজ্ঞরা গার্গলের জন্য দারণ একটি পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন এক চামচ হলুদ, সামান্য নুন এক গ্লাস জলের মধ্যি নিয়ে ৫ মিনিট ভাল করে ফোটাতে। এবার সেই জল দিয়ে গার্গল করুন। দিনের মধ্যে অন্তত তিন থেকে চারবার গার্গল করলে ভাল ফল পাবেন। ব্যথা, সংক্রমণ কাটবে অনেকটাই।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।