Chronic Inflammation: সারাবছর গায়ে হাত পায়ে তীব্র ব্যথা? উধাও হবে মানলে এই নিয়ম
chronic inflammation Care: শরীরের কোনও টিস্যু অস্ত্রোপচার হলে তা পুরোপুরি সেরে না উঠলে সেখান থেকে গুরুতর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ক্যানসার, সংক্রমণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার এসব কারণেও এই প্রদাহর সমস্যা হতে পারে।

সারাবছর নানা ব্যথা বেদনায় ভোগেন মানুষজন। বাতের ব্যথা. কোমরে, হাতে পায়ে ব্যথা লেগেই থাকে। পূর্ণিমা অমাবস্য়ায় আরও দ্বিগুণ হয় এই প্রদাহ। কিছু-কিছু সময় এই ব্যথা মাত্রা ছাড়ালে বিছানা পর্যন্ত নিতে হয়।
এর পোশাকী নাম হল Chronic Inflammation বা গুরুতর প্রদাহ। এই প্রদাহ ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। শরীরের যেকোনও অংশে এই ব্যথা হতে পারে, জয়েন্টে, হাতে পায়ে, কোমরে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই গুরুতর প্রদাহর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার্সের সঙ্গে।
কী কারণে হয় এই প্রদাহ? শরীরের কোনও টিস্যু অস্ত্রোপচার হলে তা পুরোপুরি সেরে না উঠলে সেখান থেকে গুরুতর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ক্যানসার, সংক্রমণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার এসব কারণেও এই প্রদাহর সমস্যা হতে পারে।
এর পিছনে কোন কারণ দায়ী:
অস্বাস্থ্যকর ডায়েট: অনেকেই ডায়েট সম্পর্কে সচেতন নয়। সারাদিন হাজার অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে চলেন তাঁরা। আর এতেই বাড়ে বিপদ। অত্য়ধিক পক্রিয়াজাত খাবার খেলে গুরুতর প্রদাহর সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া শর্করা, ফ্যাটজাতীয় খাবার তো আছেই।
শরীরচর্চার অভাব: শরীরচর্চার অভাবেও গুরুতর প্রদাহর সমস্য়া দেখা দেয়। কারণ এতে পেশীতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে প্রদাহর সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: স্থূলতার সমস্যাও গুরুতর প্রদাহর অন্যতম প্রধান কারণ। যদি আপনি এই ব্যথা বেদনা থেকে মুক্তি পেতে চান তবে অবশ্যই ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন।
কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। এই ধরনের গুরুতর সমস্যা থেকে যদি মুক্তি পেতে চান তবে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এক্ষেত্রে অ্যারোবিক যোগসন ভীষণ ভাবে উপকারি। এছাড়া কার্ডিয়ো, সাঁতার, সাইকেলিং, জগিং-এও উপকার পাবেন।
ডায়েটে নজর দিন: সঠিক ডায়েটও আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। রোজ বেশি করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খান। এছাড়া সাইট্রাস ও ভিটামিন সি যুক্ত ফল ডায়েটে যোগ করুন। শুধু তাই-ই নয়, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেলেও কাজ হবে। ডায়েটে আরও যোগ করতে পারেন চিয়া ও ফ্ল্যাক্স বীজ এবং মাছষ। কারণ এগুলি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম প্রধান উৎস।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
