Hemorrhoids: সকালে মলত্যাগে কষ্ট হয়? রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটা করুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jan 26, 2023 | 11:48 AM

Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক অবস্থায় যদি শরীরের যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে অর্শের ঝুঁকি বাড়বে। আর রোগ বেড়ে গেলে তখন অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।

Hemorrhoids: সকালে মলত্যাগে কষ্ট হয়? রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটা করুন

Follow Us

যিনি অর্শের সমস্যায় ভোগেন, তিনিই একমাত্র বুঝতে পারেন এর কষ্ট। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে, সেখান থেকে অর্শের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পরিবারের মধ্যে অর্শের ইতিহাস থাকলে সেখান থেকেও এই রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণে তেল, ঝাল, মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়। আবার গর্ভাবস্থাতেও নানা ওষুধের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক অবস্থায় যদি শরীরের যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে অর্শের ঝুঁকি বাড়বে। আর রোগ বেড়ে গেলে তখন অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। অস্ত্রোপচারের পরও অনেক সময় অর্শের সমস্যা ফিরে আসে। সুতরাং, জীবনযাত্রায় বদল না আনলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়।

খাওয়া-দাওয়ার উপর নজর রাখুন- রোজের ডায়েট থেকে তেল, ঝাল, মশলা যুক্ত খাবার বাদ দিন। তার বদলে শাক-সবজি বেশি করে খান। পালং শাক, পুঁই শাক, নটে শাক, কুমড়ো শাক, মুলো শাক, লাল শাক এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে ঢ্যাঁড়শ খুব উপযোগী।

প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন- কম জল খেলে মলত্যাগের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ডিহাইড্রেশনের কারণে যে সব শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়, তার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম। তাই জলের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা চলবে না। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করুন।

ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার- ময়দার তৈরি খাবার, মাটন জাতীয় রেট মিট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তার পরিবর্তে এমন খাবার খান, যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আটার তৈরি রুটি খান। ওটস, বার্লি, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড খেতে পারেন। এগুলো মলকে নরম করে দেয়।

রেট মিট একদম নয়- মাটন, ল্যাম্ব খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়বে। মুরগির মাংস খেতে পারেন। কিন্তু সীমিত পরিমাণে। প্রতিদিন চিকেন খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে, ডিম, মাছ খেতে পারেন। বরং, মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ইসবগুল খান- ডিনার শেষে এক গ্লাস ইসবগুল মেশানো জল পান করুন। ইসবগুল মলকে নরম করতে দারুণ উপযোগী। রাতে একগ্লাস ইসবগুল মেশানো জল পান করলে, পরদিন সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই উপায়ে আপনি সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে রোধ করতে পারবেন।

সকালে উঠে এই কাজটা সারুন- সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল পান করুন। গরম জলও পান করতে পারেন। এতে মলত্যাগে কষ্ট হবে না। অনেকেই দিনের শুরুতে চা-কফি পান করেন। অনেকে আবার ডিটক্স ওয়াটারেও চুমুক দেন। কিন্তু এতে খুব বেশি উপকার পাওয়া যায় না। এক গ্লাস জলই আপনাকে বেশি উপকার এনে দিতে পারে।

Next Article