ফুচকা, রোল, চাউমিন (Chow Mein) দেখলে কার না জিভে জল আসে বলুন তো! রাস্তা দিয়ে হাঁটা-চলার পথে নাকে ফাস্ট ফুডের (Fast Foods) গন্ধ এলেই হল, একবার সেদিকে তাকানো চাই। লোভ সামলাতে না পেরে শরীর খারাপের তোয়াক্কা না করেই হামলে পড়ি সে সব লোভনীয় খাবারের উপর। চেটেপুটে সবটা শেষ করার পর টনক নড়ে আমাদের। আপনিও ঠিক এমনটাই করেন তো? খেয়ে তো নিলেন! এ বার শরীরকে রক্ষা করতে কী করতে হবে তা জানা আছে তো? না থাকলে চট করে জেনে নিন…
গরম জল খান:
এই ধরণের খাবার খাওয়ার পর ঈষৎ উষ্ণ জল খান। গরম জল খাবারকে ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে হজম ভাল হয়। ভারী খাবার খাওয়ার পর জল না খেলে অন্ত্র খাবার থেকে জল শুষে নেয় যার ফলে কোষ্ঠকাঠিণ্যের ঝুঁকি বাড়ে।
গ্রিন টি:
ভারী খাবার খাওয়ার পর গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যেস করুন। কারণ গ্রিন টিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা বাড়তি ফ্যাটকে গলাতে সাহয্য করে। আজকাল অনেকেই দিনে বারবার গ্রিন টি খান। তবে চেষ্টা করুন ভারী কিছু খাওয়ার পর গ্রিন টি খেতে।
দই-জিরে খান:
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, ভারী খাবার খাওয়ার পর টক দই ও জিরে নাকি হজম শক্তি বাড়ায়। দইয়ে ল্যাক্টোব্যাসিলাস রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে ও স্বাভাবিক মলত্যাগে সহায়তা করে।
ফাইবার যুক্ত খাবার খান:
তেল যুক্ত ভারী খাবার খাওয়ার পরবর্তী পাতে ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। ওটস, ডালিয়া ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়ার পর শরীরের যা ক্ষতি হয় তা কিছুটা হলেও পূরণ হয়।
ঠান্ডা খাবার খাবেন না:
ফাস্ট ফুড খাওয়ার পর মনটা আইসক্রিম কোল্ড ড্রিঙ্কের দিকে টানে কমবেশি সবার। কিন্তু এতে শরীরের ক্ষতি হয় তা অনেকেরই অজানা। তেল যুক্ত ভারী খাবার খাওয়ার পর আইসক্রিম খেলে হজমে সমস্যা হয়। এ ছাড়াও অন্ত্র, পাকস্থলী ও যকৃতের উপর চাপ পড়ে।
বাদাম ও বীজ খান:
ভারী খাবার খাওয়ার পরের দিন ডায়েটে অবশ্যই বীজ ও বাদাম রাখুন। এগুলি শরীরের জন্য ভাল।
হাঁটুন:
শুধু ভারী খাবার খাওয়ার পরই নয়, খাওয়া-দাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে হজম শক্তি বাড়ে। আর ভারী কিছু খাওয়ার পর অন্তত ১০০০ স্টেপ হাঁটুন।
জোয়ান জল খান:
জোয়ান খাবার হজম করতে সাহায্য করে তা কমবেশি আমাদের সবার জানা। তবে ভারী লাঞ্চ বা ডিনারের পর ঈষৎ উষ্ণ জলে এক চামচ জোয়ান মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।