এমন কিছু ক্যানসার (Cancer) থাকে যার জন্য দায়ী থাকে জেনেটিক মিউটেশন (Cancer Runs In your Family)। যদিও পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত এই ক্যানসারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে মাত্র ১০ শতাংশ। যদিও নির্দিষ্ট কিছু জিন থাকে যেগুলি মিউটেশনের (Mutation) মাধ্যমে ক্যানসার কোশের সঙ্গে যুক্ত হয়। কিন্তু তাই বলে সেই কোশগুলি থাকা মানেই যে ওই ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন তা নয়। এমনকী এই মিউটেশনও বিরল। যদি সেই আক্রান্ত কোশের সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক কোনও উপসর্গ এসে যুক্ত হয় বা সমস্যা থাকে তখনই কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রতিদিনই আমাদের চারপাশের অনেক মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হচ্ছেন। আবার কারোর এতটাই দেরিতে ধরা পড়ছে যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার তেমন কোনও সুযোগ থাকছে না।
আর তাই ক্যানসারের ঝুঁকি রুখতে কিন্তু জোরদার নজর দিতে হবে ডায়েটে। ক্যানসার রুখতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান থেকে দূরে থাকা, সুষম আহার, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া এগুলিই পারে ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে। অনেক পরিবারেই ক্যানসার আক্রান্তের ইতিহাস রয়েছে। আর তাই এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে। সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে বিশেষ কিছু খাবারও।
রোজকার ডায়েটে ফল, সবজি, গোটাশস্য এসব অবশ্যই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার এসব বেশি পরিমাণে খেতে হবে। জলির কার্বোহাইড্রেট, অলিভ অয়েল এসব খেতে পারলে খুবই ভাল। কিন্তু বাইরের খাবার বা ফাস্ট ফুড একেবারেই বাদ দিতে হবে। বিশেষত যাঁদের পরিবারের অন্দরেই রয়েছে কর্কট রোগের ইতিহাস। কারণ সেখান থেকে পরবর্তীতে বাড়তে পারে ক্যানসারের সম্ভাবনা।
প্রসেসড ফুড- ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে জুড়ি মেলা ভার প্রসেসড ফুডের। আর তাই প্রথম থেকেই একেবারেই বাদ রাখুন এই খাবার। আর এই প্রসেসড ফুডের মধ্যে সবথেকে খারাপ হল সালামি। সালামির মধ্যে প্রাকৃতিক কোনও পুষ্টিগুণই কিন্তু থাকে না। থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট, নুন। যা ভীষণ ভাবেই বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের ঝুঁকি।
বিয়ার- সপ্তাহন্তে কিংবা সপ্তাহের মধ্যিখানে কাজের চাপে পিষ্ট হয়ে অনেকেই ক্লান্তি দূর করার জন্য বেছে নেন বিয়ার। যা মোটেই ঠিক নয়। বিশেষত মেয়েদের বিয়ার একদম এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ নইলে থেকে যায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। আর যা কিন্তু প্রথমেই ধরা পড়ে না। ৫.৮ শতাংশ স্তন ক্যানসারের কারণ কিন্তু অ্যালকোহল।
স্টেক- এই খাবারটির প্রচিও কিন্তু সকলের অদ্ভুত আকর্ষণ থাকে। কিন্তু পরিবারের মধ্যে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে স্টেক একেবারেই নয়। কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই স্টেক। বলছে বিভিন্ন গবেষণা।
নুন- হার্টের সমস্যা থেকে কিডনির সমস্যা- সবই কিন্তু জটিল হতে পারে নুন খাওয়ার কারণে। অত্যধিক পরিমাণ নুন শরীরে ডেকে আনে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ড ইন্টারন্যাশনাল (The World Cancer Research Fund International)নুনের মধ্যে এমন একটি উপাদান খুঁজে পেয়েছে যা স্টমাক ক্যানসারের অন্যতম কারণ।
জ্যাম- ব্রেকফাস্টে ব্রেড আর জ্যাম অনেকেরই বেশ প্রিয়। কিন্তু জ্যামের মধ্যে থাকা সোডিয়াম বাড়িয়ে দেয় স্টমাক ক্যানসারের ঝুঁকি। এছাড়াও জ্যামের মধ্যে মেশানো থাকে বেশ কিছু প্রিজারভেটিভ। যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: PCOS Diet: ব্রেকফাস্টে রাখুন লো কার্ব রেসিপি, ওজন কমবে ঝটপট